হঠাৎ
করেই মেজাজটা বিগড়ে গেলো। ভয়ংকর রকমের মেজাজ খারাপ। ব্যাপারটা অনেকটা
সাপের মতো ঠান্ডা একটা অনুভূতি। বাহিরের থেকে বুঝার উপায় নাই কতটা মেজাজ
খারাপ। ভাষায় ব্যাক্ত করারমতোও ভাষা আমার জানা নেই। শুধু বুঝতে পারছি বা
উপলব্ধি করতে পারছি এই ঠান্ডা রাগটাকে।
আমি সাধারনত রগচটে। রেগে গেলে চিল্লাচিল্লি করে আশপাশের সবকিছু উতপ্ত করে তুলি। এবং কিছুক্ষনের মধ্যেই আবার নরমাল হয়ে যাই। কিন্তু আজকের এই রাগটার সাথে আমি মোটেও পরিচিত নই। একদম ভয়ংকর হিম করা। মনে হচ্ছে, অনেকটা মাফিয়াদের গডফাদারের মতো রাগ।
কি করা যায়, ভাবছি। ওয়ার্ডটা খুলে তাই একটু লেখালেখি করছি। শুনেছিলাম, লিখতে বসলে নাকি মুডটার পরিবর্তন হয়। দেখা যাক কতোটুকু পরিবর্তন হয়? একটা পরীক্ষাও হয়ে যাবে। মানুষতো কতোকিছুই বলে। এক একজন লোক এক একভাবে এক একটা জিনিষ দেখে বা ব্যাখ্যা করে।
দেখার জিনিষটাও একটা বিস্ময়। আমরা প্রতিনিয়ত দেখছি গাছ থেকে কতকিছু ঝড়ে পড়ে যায়। কিন্তু নিউটন সাহেব এই পড়ে যাওয়ার মধ্যেও মধ্যাকর্ষন শক্তি নামক একটা শক্তি আবিষ্কার করে জগৎবিখ্যাত হয়ে উঠলেন। আচ্ছা, এই দেখার জন্য কি কি ভেরিবল প্রয়োজন। আই মিন, এইযে নিউটন সাহেবের দেখা আর আমার দেখার মঝেতো আকাশ পাতাল পার্থক্য, এই পার্থক্য সৃষ্টিকারী কি কি উপাদান মূখ্য ভূমিকা রাখে।
দর্শনশাস্ত্র নামক একটা সাবজেট আবার দেশে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অন্তর্ভুক্ত। এই দর্শন শাস্ত্র আর আমার দেখার শাস্ত্রর মধ্যে কি কি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে? প্রথমেতো এরিষ্টটল, মার্কস, লেনিন সবাই আমার মতো আম জনতা ছিলেন। এরপর হঠাৎ এমনি কি তারা পেলেন যে তাদের চিন্তাভাবনা আমাদের গলধারন করতে হবে?
মার্কসবাদ, লেনিনবাদ এখন উন্নত বিশ্বে একপ্রকার বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তারপরও আমাদের দেশে এর চর্চা ও বারাবারি দেখে আমি রীতিমতো অবাক হয়ে যাই। যে থিউরী উন্নত বিশ্ব ফেলে দিয়েছে তা নিয়ে আমরা কেন এতো মাতামাতি করি। আর যারা করে থাকেন তাদের সিংহ ভাগই কিন্তু উচ্চ শিক্ষিত।
এটা সত্যি এইসব বামধারাদের কথাবর্তা শুনতে খুবই ভাল লাগে। যখনই শুনি তখনই একটা মোহে আবিষ্ট হয়ে দু’চোখে স্বপ্ন জেগে উঠে। মনে হয় সত্যিইতো এইরকমই হওয়া উচিত। কেন আমাদের বিশ্ব স্বপ্নময় হবেনা? আরে তাইতো কেউ খাবেতো খেউ খাবেনা তা হবে না তা হবে না। সত্যিই দারুন। এটাই হওয়া উচিত। তারপরও বিশ্বের যারা এই থিউরী ব্যবহার করেছিল তারা সবাই এখন তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কেন? নিশ্চয়ই তারা এই থিউরী এবং প্র্যাকটিকাল জীবনধারার মাঝে একটা বিশাল দূরত্ব আবিষ্কার করেছেন। তারা নিশ্চয় এই থিউরীর চোরাগর্তগুলো কোনভাবেই ভরাট করার নয় বলে তা প্ররিত্যাজ্য বলে গন্য করেছেন।
হায় আমার দেশ, তোমার দেশের উচ্চ শিক্ষিত কিছু মেধাবীরা এই পরিত্যাজ্য থিউরী নিয়ে এতোবেশী মাতামাতি করে যে …….. । আর আমার দেশের তরুন সমাজ তাদের স্বপ্নময় কথন শুনে স্বপ্নে বিভর হয়ে তা বাস্তবায়নে ঝাপিয়ে পড়ে। একবারও ভাবেনা, এইসব থিউরীর জনকরা যেসব দেশের কর্নধর ছিলেন সেইসব দেশে এখন কি হচ্ছে, কেন হচ্ছে?
আমার দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি আমাদের জনসংখ্যা। আবার সবচেয়ে বড় বাধাও এই জনসংখ্যা। শক্তি ও বাধা এর মাঝের দূরত্বটা হচ্ছে একমাত্র শিক্ষা। হ্যাঁ, শিক্ষা। কেবলমাত্র শিক্ষাই পারে এই বাধাকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে।
আমাদের আপাময় জনতার কত শতাংশ শিক্ষিত, তা আর উল্লেখ নাইবা করলাম। শুধু একটা ধারনা দেই, আমাদের দেশে যে শুধুমাত্র তার নামটা লিখতে পারে সেই শিক্ষিত বলে গণ্য হয়। আর আমাদের উচু মহল, উচ্চ শিক্ষিত, বাকপটুরা তাদের কথার ফুলঝুড়ি দিয়ে এই অর্ধশিক্ষিত জনগনকে ভুল পথে পরিচালিত করে তাদের প্রবৃত্তি চরিতার্থ করতে বিন্দুমাত্র কুন্ঠাবোধ করেননা।
এই অসহায় মানুষগুলো এক মুঠো ভাতের আশায়, শান্তির আশায় প্রতিনিয়ত কঠোর সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আর আমাদের নেতা-নেত্রী তাদের চোখের সামনে নানা রংগের ফানুষ উড়িয়ে ক্ষমতার মসনদে আরোহন করছেন। মসনদকে পাকাপোক্ত করতে তারাও জনগনকে বিভিন্নভাবে নিপিড়ন নির্যাতন করে চলছেন, সেই সাথে আবার তাদের পোষ্য সুশিল সমাজের প্রতিনিধিগন তাদেরকে (জনগন) দিচ্ছেন ভুল ব্যাখ্যা যাতে তারা সত্যকে প্রত্যাক্ষান করে এবং এই শাসকের শোষনকে বিধাতার আশীর্বাদ ভেবে আকড়িয়ে ধরে।
আমি সাধারনত রগচটে। রেগে গেলে চিল্লাচিল্লি করে আশপাশের সবকিছু উতপ্ত করে তুলি। এবং কিছুক্ষনের মধ্যেই আবার নরমাল হয়ে যাই। কিন্তু আজকের এই রাগটার সাথে আমি মোটেও পরিচিত নই। একদম ভয়ংকর হিম করা। মনে হচ্ছে, অনেকটা মাফিয়াদের গডফাদারের মতো রাগ।
কি করা যায়, ভাবছি। ওয়ার্ডটা খুলে তাই একটু লেখালেখি করছি। শুনেছিলাম, লিখতে বসলে নাকি মুডটার পরিবর্তন হয়। দেখা যাক কতোটুকু পরিবর্তন হয়? একটা পরীক্ষাও হয়ে যাবে। মানুষতো কতোকিছুই বলে। এক একজন লোক এক একভাবে এক একটা জিনিষ দেখে বা ব্যাখ্যা করে।
দেখার জিনিষটাও একটা বিস্ময়। আমরা প্রতিনিয়ত দেখছি গাছ থেকে কতকিছু ঝড়ে পড়ে যায়। কিন্তু নিউটন সাহেব এই পড়ে যাওয়ার মধ্যেও মধ্যাকর্ষন শক্তি নামক একটা শক্তি আবিষ্কার করে জগৎবিখ্যাত হয়ে উঠলেন। আচ্ছা, এই দেখার জন্য কি কি ভেরিবল প্রয়োজন। আই মিন, এইযে নিউটন সাহেবের দেখা আর আমার দেখার মঝেতো আকাশ পাতাল পার্থক্য, এই পার্থক্য সৃষ্টিকারী কি কি উপাদান মূখ্য ভূমিকা রাখে।
দর্শনশাস্ত্র নামক একটা সাবজেট আবার দেশে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অন্তর্ভুক্ত। এই দর্শন শাস্ত্র আর আমার দেখার শাস্ত্রর মধ্যে কি কি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে? প্রথমেতো এরিষ্টটল, মার্কস, লেনিন সবাই আমার মতো আম জনতা ছিলেন। এরপর হঠাৎ এমনি কি তারা পেলেন যে তাদের চিন্তাভাবনা আমাদের গলধারন করতে হবে?
মার্কসবাদ, লেনিনবাদ এখন উন্নত বিশ্বে একপ্রকার বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তারপরও আমাদের দেশে এর চর্চা ও বারাবারি দেখে আমি রীতিমতো অবাক হয়ে যাই। যে থিউরী উন্নত বিশ্ব ফেলে দিয়েছে তা নিয়ে আমরা কেন এতো মাতামাতি করি। আর যারা করে থাকেন তাদের সিংহ ভাগই কিন্তু উচ্চ শিক্ষিত।
এটা সত্যি এইসব বামধারাদের কথাবর্তা শুনতে খুবই ভাল লাগে। যখনই শুনি তখনই একটা মোহে আবিষ্ট হয়ে দু’চোখে স্বপ্ন জেগে উঠে। মনে হয় সত্যিইতো এইরকমই হওয়া উচিত। কেন আমাদের বিশ্ব স্বপ্নময় হবেনা? আরে তাইতো কেউ খাবেতো খেউ খাবেনা তা হবে না তা হবে না। সত্যিই দারুন। এটাই হওয়া উচিত। তারপরও বিশ্বের যারা এই থিউরী ব্যবহার করেছিল তারা সবাই এখন তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কেন? নিশ্চয়ই তারা এই থিউরী এবং প্র্যাকটিকাল জীবনধারার মাঝে একটা বিশাল দূরত্ব আবিষ্কার করেছেন। তারা নিশ্চয় এই থিউরীর চোরাগর্তগুলো কোনভাবেই ভরাট করার নয় বলে তা প্ররিত্যাজ্য বলে গন্য করেছেন।
হায় আমার দেশ, তোমার দেশের উচ্চ শিক্ষিত কিছু মেধাবীরা এই পরিত্যাজ্য থিউরী নিয়ে এতোবেশী মাতামাতি করে যে …….. । আর আমার দেশের তরুন সমাজ তাদের স্বপ্নময় কথন শুনে স্বপ্নে বিভর হয়ে তা বাস্তবায়নে ঝাপিয়ে পড়ে। একবারও ভাবেনা, এইসব থিউরীর জনকরা যেসব দেশের কর্নধর ছিলেন সেইসব দেশে এখন কি হচ্ছে, কেন হচ্ছে?
আমার দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি আমাদের জনসংখ্যা। আবার সবচেয়ে বড় বাধাও এই জনসংখ্যা। শক্তি ও বাধা এর মাঝের দূরত্বটা হচ্ছে একমাত্র শিক্ষা। হ্যাঁ, শিক্ষা। কেবলমাত্র শিক্ষাই পারে এই বাধাকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে।
আমাদের আপাময় জনতার কত শতাংশ শিক্ষিত, তা আর উল্লেখ নাইবা করলাম। শুধু একটা ধারনা দেই, আমাদের দেশে যে শুধুমাত্র তার নামটা লিখতে পারে সেই শিক্ষিত বলে গণ্য হয়। আর আমাদের উচু মহল, উচ্চ শিক্ষিত, বাকপটুরা তাদের কথার ফুলঝুড়ি দিয়ে এই অর্ধশিক্ষিত জনগনকে ভুল পথে পরিচালিত করে তাদের প্রবৃত্তি চরিতার্থ করতে বিন্দুমাত্র কুন্ঠাবোধ করেননা।
এই অসহায় মানুষগুলো এক মুঠো ভাতের আশায়, শান্তির আশায় প্রতিনিয়ত কঠোর সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আর আমাদের নেতা-নেত্রী তাদের চোখের সামনে নানা রংগের ফানুষ উড়িয়ে ক্ষমতার মসনদে আরোহন করছেন। মসনদকে পাকাপোক্ত করতে তারাও জনগনকে বিভিন্নভাবে নিপিড়ন নির্যাতন করে চলছেন, সেই সাথে আবার তাদের পোষ্য সুশিল সমাজের প্রতিনিধিগন তাদেরকে (জনগন) দিচ্ছেন ভুল ব্যাখ্যা যাতে তারা সত্যকে প্রত্যাক্ষান করে এবং এই শাসকের শোষনকে বিধাতার আশীর্বাদ ভেবে আকড়িয়ে ধরে।
No comments:
Post a Comment