Sunday, July 7, 2013

তত্বাবধায়ক সরকার

তত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন, এবারের তত্বাবধায়ক সরকারকে নাকি কেয়ামতের আগ পর্যন্ত আর নামানো যাবেনা।

যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের কথা বলেন, তখন আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে, তাঁর কাছে নিশ্চয় এর সপক্ষে যথেষ্ট যুক্তি-প্রমান বা তথ্য রয়েছে। অন্যথায় এ ধরনের বক্তব্য অবশ্যই তিনি দিতেননা তাও আবার জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে।

আমি যতটুকু জানি বা বুঝি, অক্টোবরে সংসদ ভেঙ্গে যাবার পর নতুন সরকার গঠন হবার আগ পর্যন্ত বর্তমান প্রধানমন্ত্রীই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।

সেদিন ব্যরিস্টার মইনুল হোসেন কোন এক টকশো তে বললেন, আমাদের শুধু নির্বাচনটাই গনতন্ত্র। এখানে কোর্টকেও দলীয়করন করা হয়েছে। এটাকে সাময়িক সরকারের কোর্ট বলা চলে (আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন দ্রষ্টাব্য) ..........

আমরা দেখেছি ১৯৮৮, ১৯৯৬। শুনা যাচ্ছে ১৪ দলের অনেক শরীকদলও নাকি তত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বর্তমান সরকারও কিন্তু এই সরকারের ইস্যুতে ২০০৭ সালের আপোষহীন আন্দোলনের মাধ্যমে ১/১১ এর জন্ম দিয়েছিলেন। এবং ১/১১ এর পর অনেক সমাবেশেও দেখেছি তারা এর কৃতিত্ব দাবি করেছেন।

একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে আমাকে কিছু প্রশ্ন বারবার খুঁচিয়ে চলছে, এর উত্তর আজও আমি খুঁজে পাচ্ছিনা....

যদি শরীকদলগুলো সত্যি সত্যিই তত্বাবধায়ক সরকার এর পক্ষে থেকে থাকে তাহলে যেদিন এই আইনটি সংসদে পাশ হয়েছিল সেদিন তাদের ভূমিকা কি ছিল?

২০০৭ এর আন্দোলন এর ফসল যদি ১/১১ হয়ে থাকে তাহলে এর জন্য যে বা যারা দায়ি বা যারা এর কৃতিত্ব দাবী করছেন তাদের অধিনে কিভাবে একটা সুষ্ঠ নির্বাচন জনগন আশা করতে পারে?

যারা ১৯৯৬ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে রাজপথ উত্তাল করে রেখেছিল ও নির্বাচন বর্জন করেছিল এবং তার পরবর্তীতে তারা একটা নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবী আদায় করেছিল, কেন আজ তারা তাদেরই আরাধ্য সরকারের বিপরীতে অবস্থান নিচ্ছেন?

যে সরকার ১৯৯৬ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছিলেন আজ কেন তারা আবার সেই সরকারের পক্ষে রাজপথ উত্তাল করে জনগনের ভোগান্তি বাড়িয়ে চলছেন?

বস্তুত, ক্ষমতা দখলের এই রাজনীতিতে কোন দলই জনগনের উপর আস্থাশীল নয়। তারা যেভাবে জনগনের আস্থা নিয়ে নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করেছেন ভাবছেন জনগনও ................


০৩/০৭/২০১৩

No comments:

Post a Comment