আইনের
শাসন কথাটা বেশ সাড়া জাগাচ্ছে। প্রায় সব জায়গায়ই এই আইনের শাসন আলোচনার
কেন্দ্রবিন্দু। জানিনা, আইনের শাসন বলতে কে কি বুঝায়। আমি বুঝি, প্রচলিত
আইন দ্বারা যে শাসন পরিচালিত হয় তাকেই আইনের শাসন বলে।
আমাদের সংবিধান অনুযায়ী দুই তৃতিয়াংশ সাংসদ যদি কোন একটা বিশেষ আইনের প্রতি সমর্থন দেন তাহলেই সেই আইন বা ধারা পরবর্তীতে সকলস্থানে সমানভাবে কার্যকর হয়। এবং এটাই সাংবিধানিক আইন, অবশ্যই ন্যূনতম দুই তৃতিয়াংশ সাংসদ এর সহোমত প্রয়োজন।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীন সরকার ঐ প্রয়োজনীয় দুই তৃতিয়াংশ আসনেরও অধিক আসন অলংকৃত করে রেখেছেন। আমাদের প্রথানুযায়ী দলীয় প্রধান যা বলেন দলের সকল সদস্য বিনাবাক্য ব্যায়ে তাই মেনে নেন। এটা অবশ্য দলের ভিতর সুশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য জরুরী। আমি প্রধানমন্ত্রী/বিরোধীদলীয় নেতার কোন বক্তব্য তার দলের কাউকেই কখনও এক্সপাঞ্জ করতে দেখিনি।
সহজ ভাষায় প্রথাকেই আইন বলা হয়। সুতরাং, দেখা যাচ্ছে যে, দলীয়ভাবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত। এখন যদি ভাবেন রাষ্ট্রীয় পর্যায় আইনের শাসনের কথা, তাহলে আরও একটু গভীরভাবে সমস্ত ব্যপারটা পর্যালোচনা করে দেখা যায়।
যেহেতু দলীয়ভাবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত, সেহেতু, সরকারীদল যদি কোন আইন পাশ করতে চায়, প্রথমে তাদেরকে আইনটা সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। তারপর মাননীয় স্পিকার সেই আইনের ব্যপারে সবার ভোট চাইবেন। বর্তমান সরকারী দল প্রয়োজনের তুলনায় অধিক আসনে উপবিষ্ট বলে সেই আইন অবশ্যই পাশ হবে এবং সেই অনুযায়ীই দেশ পরিচালিত হবে বা হচ্ছে। তাই নয় কি?
অতএব, দেখা যাচ্ছে যে, আপনারা টক শো, সম্পাদকীয়, উপ-সম্পাদকীয়, মিটিং বা যে যেখানেই বলে থাকেন যে দেশে আইনের শাসন নেই, তারা ভুল বলছেন। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত আছে এবং ..........
#ভাঙ্গাচশমা
০৬/০৭/২০১৩
আমাদের সংবিধান অনুযায়ী দুই তৃতিয়াংশ সাংসদ যদি কোন একটা বিশেষ আইনের প্রতি সমর্থন দেন তাহলেই সেই আইন বা ধারা পরবর্তীতে সকলস্থানে সমানভাবে কার্যকর হয়। এবং এটাই সাংবিধানিক আইন, অবশ্যই ন্যূনতম দুই তৃতিয়াংশ সাংসদ এর সহোমত প্রয়োজন।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীন সরকার ঐ প্রয়োজনীয় দুই তৃতিয়াংশ আসনেরও অধিক আসন অলংকৃত করে রেখেছেন। আমাদের প্রথানুযায়ী দলীয় প্রধান যা বলেন দলের সকল সদস্য বিনাবাক্য ব্যায়ে তাই মেনে নেন। এটা অবশ্য দলের ভিতর সুশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য জরুরী। আমি প্রধানমন্ত্রী/বিরোধীদলীয় নেতার কোন বক্তব্য তার দলের কাউকেই কখনও এক্সপাঞ্জ করতে দেখিনি।
সহজ ভাষায় প্রথাকেই আইন বলা হয়। সুতরাং, দেখা যাচ্ছে যে, দলীয়ভাবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত। এখন যদি ভাবেন রাষ্ট্রীয় পর্যায় আইনের শাসনের কথা, তাহলে আরও একটু গভীরভাবে সমস্ত ব্যপারটা পর্যালোচনা করে দেখা যায়।
যেহেতু দলীয়ভাবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত, সেহেতু, সরকারীদল যদি কোন আইন পাশ করতে চায়, প্রথমে তাদেরকে আইনটা সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। তারপর মাননীয় স্পিকার সেই আইনের ব্যপারে সবার ভোট চাইবেন। বর্তমান সরকারী দল প্রয়োজনের তুলনায় অধিক আসনে উপবিষ্ট বলে সেই আইন অবশ্যই পাশ হবে এবং সেই অনুযায়ীই দেশ পরিচালিত হবে বা হচ্ছে। তাই নয় কি?
অতএব, দেখা যাচ্ছে যে, আপনারা টক শো, সম্পাদকীয়, উপ-সম্পাদকীয়, মিটিং বা যে যেখানেই বলে থাকেন যে দেশে আইনের শাসন নেই, তারা ভুল বলছেন। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত আছে এবং ..........
#ভাঙ্গাচশমা
০৬/০৭/২০১৩
No comments:
Post a Comment