Tuesday, July 9, 2013

ইসলাম

যদি প্রশ্ন করি, ইসলাম অর্থ কি? দেখা যাবে, সিংহভাগ মুসলমানই উত্তর দিচ্ছেন, ইসলাম অর্থ শান্তি। আসলেই কি ইসলাম অর্থ শান্তি?

বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের শুরুর দিকে গোয়েন্দা বিভাগ মুসলমানদেরকেই সবচেয়ে বেশী দায়ি করলেন এবং এর পরপরই ইতিহাসে দেখা যায়, মুসলমান নিধন শুরু করে দিয়েছিল বৃটিশ শাসকরা। মসজিদ-মাদ্রাসায় আগুন দিয়ে তারা মুসলমানদের ইবাদত-বন্দেগীতে বাধা দেওয়া শুরু করলো। বাদ যায়নি পবিত্র কুরআন পুড়ানো। তারা হয়তবা ভেবেছিল কুরআন পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিলেই মুসলমানদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে যাবে। তারপরও তারা আন্দোলন থামাতে পারেনি।

মুসলমানদের উপর তাদের অত্যাচার যতো বাড়ছিল আন্দোলনও ততো চাঙ্গা হচ্ছিল। শাসক শ্রেনী দেখলেন এভাবে মুসলমানদের দমানো যাবেনা। তারা কাগজের কুরআন পুড়িয়ে ফেলছেন ঠিকই কিন্তু যে কুরআন মুসলমানদের বুকে লেখা আছে (কুরআনে হাফেজ) সেই কুরআন তারা পুড়াবে কিভাবে। শুরু করলো কুরআনে হাফেজদের হত্যা করা। আজও ইতিহাসের পাতায় সাক্ষী আছে তাদের বর্বরোচিত সেই হত্যা হত্যাযজ্ঞ। এতেও তারা ব্যার্থতার স্বাদ আস্বাদন করে বেছে নেয় ভিন্ন পন্থা।

বৃটিশরা বেছে নেয় ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা। তৈরী করে কলিকাতায় আলিয়া মাদ্রাসা। শুরু হয়ে যায় অত্যন্ত চাতুরিকতার সাথে ইসলামের অপব্যাখ্যা। যদি কেউ আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষদের নামের তালিকা দেখেন, দেখবেন প্রথম কয়েকজন অধ্যক্ষই অমুসলিম।

তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার মূলে ছিল, মুসলমানরা কুরআন পড়বে, নামাজ আদায় করবে, রোজা রাখবে, যাকাত দিবে কিন্তু ভুলে যাবে ইসলামের মূল কথা, ভুলে যাবে ইসলামের শ্বাশত বানী। আজ তাদের শেখানো শিক্ষা ব্যবস্থার সার্থকতা আমাদের পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায় দৃশ্যমান।

আজ আমরা মুসলমানরা নামায, রোজা, হজ্জ্ব, যাকাত সবই পালন করছি তারপরও কুরআন এ বর্নিত আল্লাহর বানী অনুযায়ী লাভবান হচ্ছিনা। মুষ্টিমেয় কয়েকজনের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ভুলে যাচ্ছি কুরআন-হাদিসের শিক্ষা। নারী-পুরুষের অধিকার আদায়ের নামে শুরু করেছি বেহায়াপনা। পবিত্রতা ভুলে বেছে নিয়েছি নোংরামি।

মুসলমানরা আন্দোলন করলে বলা হচ্ছে জঙ্গি। জঙ্গি নিধনের নামে শুরু হয়ে যায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ। আজও যাদের মূল লক্ষ মুসলমান নিধন। হায়! আমার জাতি, আমরাও তাদের মুসলমান নিধনকে বৈধতা দিতে করে যাচ্ছি কুরআন-হাদিসের অপব্যাখ্যা একের পর এক। কখনও বলিনা, ইসলাম যেমনি শান্তির কথা বলে ঠিক তেমনি জিহাদকেও ফরজ করেছে। ভুলে যাই, প্রিয় নবীর যুদ্ধে নেতৃত্ব দানের কথা।

কুরআনে স্পষ্ট ভাবেই বলা হয়েছে, ইসলাম অর্থ সেচ্ছায় আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পন করা। সেখানে কোন প্রকার বাক-বিতন্ডার অবকাশ নেই। ভাল লাগুক আর না লাগুক, আল্লাহর আদেশ মতো জীবন ও রাষ্ট্রের পরিচালনার নামই ইসলাম। আর এই ইসলামকে যে বা যারা অনুসরন করবে কেবলমাত্র তারাই মুসলমান।।

Monday, July 8, 2013

বৃদ্ধাশ্রম

বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে আজকাল অনেকেই লিখছেন। কেউ তার বাবা’কে বা মা’কে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাচ্ছেন। দু’একজন আবার দেখা যাচ্ছে শেষে আবার তাদেরকে বাসায় ফিরেও আনছেন। আপনাদের লেখা পড়ে মনে হচ্ছে আমাদের দেশে বৃদ্ধাশ্রম নামক কারাগারটা বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

প্রায় সবার লেখাতেই দেখা যায় বউ এর কথায় বা প্ররোচনায় বাবা-মা’কে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো হচ্ছে। কেন রে ভাই, তারা কি অন্যের প্ররোচনায় কখনও আপনার কোন আবদার অপূরনীয় রেখেছেন? যতটুকু তাদের সাধ্যের মধ্যে ছিল তার সবটুকুই তারা আপনাদের জন্য করেছেন। নিজের শখ-আহ্লাদ বিসর্জন দিয়ে হলেও আপনার অনেক অনৈতিক আবদার তারা রেখেছেন। আপনার দেয়া কষ্টগুলো তারা হাসিমুখে সহ্য করে গেছেন। কখনও কারও কাছে এতোটুকু অভিযোগ করেনি। তবে আজ কেন কারও প্ররোচনায় আপনি তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমের দরজা দেখাচ্ছেন?

যদি কখনও আপনার মনে হয় আপনার বাবা-মা কোন অযৌক্তিক কথা বলছেন বা অভদ্র আচোরন করছেন বা আপনার মান-সম্মানহানীকর কিছু বলছেন বা করছেন অথবা অহেতুক বকাঝকা করছেন অথবা শুধুশুধু কোন বিষয় নিয়ে প্যাঁচাচ্ছেন তাহলে, আপনাদের নিকট ‍বিনীত অনুরোধ রইলো তখন আপনি আপনার সন্তানের দিকে তাকান। দেখবেন সব কিছু কেমন সহজ হয়ে যাবে।

বাবা-মা’কে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর আগে নিজের সন্তানকে এতিমখানায় পাঠালে কেমন হয়? কালতো ঐ সন্তানই আপনাকে আবার বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবে, সুতরাং আগে থেকেই তাকে এতিমখানায় পাঠিয়ে আপনার বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়ার পথটা রুখে দিন.............

‎#বাঁকাচোখ


07/07/2013

Sunday, July 7, 2013

বাঁকাচোখ

মানুষের মনটাই একটা জটিল গোলক ধাঁধা। কত ধরনের কত প্রশ্ন মনের মাঝে উকি মেরে যায়। সেইসব প্রশ্নের বেশীরভাগই জানা হয়না বা উত্তর খোজা হয়না। আবার কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজাটাও হয়ে থাকে ঝুঁকিপূর্ন। কিছু কিছু প্রশ্ন ঝুঁকিপূর্ন জানার পরও মন এর উত্তরের জন্য ছটফট করে........

এমনই একটা প্রশ্নের উত্তর এর জন্য রাত থেকে মনটা ব্যাকুল। জানার অনেক ইচ্ছা, সিটি নির্বাচনের ফলাফলের পর আওয়ামীলীগের অনুভূতি কি?

মুন্নী সাহা তুমারে মিছাই............

বাঁকাচোখ

আইন অন্ধ। সে শুধু যুক্তি প্রমান দ্বারা দোষী সাব্যস্ত করে থাকে এবং সে অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করে থাকে। আর এই যুক্তি প্রমান উপস্থাপন করে থাকেন একজন আইনবিদ।

যে কোন মামলাই একজন আইনবিদ এর উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। এখন যদি একজন আইনবিদ কোন মুরগী চোরগে বাংলাদেশ দন্ডবিধি ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করতে পারেন তাহলে তা কি তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হবে?



০৬/০৭/২০১৩

ভাঙ্গাচশমা

আইনের শাসন কথাটা বেশ সাড়া জাগাচ্ছে। প্রায় সব জায়গায়ই এই আইনের শাসন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। জানিনা, আইনের শাসন বলতে কে কি বুঝায়। আমি বুঝি, প্রচলিত আইন দ্বারা যে শাসন পরিচালিত হয় তাকেই আইনের শাসন বলে।

আমাদের সংবিধান অনুযায়ী দুই তৃতিয়াংশ সাংসদ যদি কোন একটা বিশেষ আইনের প্রতি সমর্থন দেন তাহলেই সেই আইন বা ধারা পরবর্তীতে সকলস্থানে সমানভাবে কার্যকর হয়। এবং এটাই সাংবিধানিক আইন, অবশ্যই ন্যূনতম দুই তৃতিয়াংশ সাংসদ এর সহোমত প্রয়োজন।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীন সরকার ঐ প্রয়োজনীয় দুই তৃতিয়াংশ আসনেরও অধিক আসন অলংকৃত করে রেখেছেন। আমাদের প্রথানুযায়ী দলীয় প্রধান যা বলেন দলের সকল সদস্য বিনাবাক্য ব্যায়ে তাই মেনে নেন। এটা অবশ্য দলের ভিতর সুশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য জরুরী। আমি প্রধানমন্ত্রী/বিরোধীদলীয় নেতার কোন বক্তব্য তার দলের কাউকেই কখনও এক্সপাঞ্জ করতে দেখিনি।

সহজ ভাষায় প্রথাকেই আইন বলা হয়। সুতরাং, দেখা যাচ্ছে যে, দলীয়ভাবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত। এখন যদি ভাবেন রাষ্ট্রীয় পর্যায় আইনের শাসনের কথা, তাহলে আরও একটু গভীরভাবে সমস্ত ব্যপারটা পর্যালোচনা করে দেখা যায়।

যেহেতু দলীয়ভাবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত, সেহেতু, সরকারীদল যদি কোন আইন পাশ করতে চায়, প্রথমে তাদেরকে আইনটা সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। তারপর মাননীয় স্পিকার সেই আইনের ব্যপারে সবার ভোট চাইবেন। বর্তমান সরকারী দল প্রয়োজনের তুলনায় অধিক আসনে উপবিষ্ট বলে সেই আইন অবশ্যই পাশ হবে এবং সেই অনুযায়ীই দেশ পরিচালিত হবে বা হচ্ছে। তাই নয় কি?

অতএব, দেখা যাচ্ছে যে, আপনারা টক শো, সম্পাদকীয়, উপ-সম্পাদকীয়, মিটিং বা যে যেখানেই বলে থাকেন যে দেশে আইনের শাসন নেই, তারা ভুল বলছেন। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত আছে এবং ..........


#ভাঙ্গাচশমা

০৬/০৭/২০১৩

বাঁকাচোখ

আমাদের রাজনীতিতে যে যতো ‘ম’ এর ব্যবহার করতে পারবে সে ততো সাফল্য লাভ করতে পারবে বলে আমি ধারনা করি। যেমন: মেধা, ম্যান, মানি, মিডিয়া, মডিফিকেশন...........


০৬/০৭/২০১৩

ভাঙ্গাচশমা

একবার আমি ভারতের মাদ্রাজে (বর্তমানে চিন্নাই) গিয়ে পৌঁছি ভোর ৫টায়। সকাল ৭টায় আমার কানেকটিং ট্রেন, ব্যাঙ্গালোরে যাবো। কত নম্বর প্লাট ফর্মে আমার ট্রেন আসবে তা জানার জন্য আমি এ্যনকোয়েরী লেখা রুমে গেলাম। গিয়ে সেখানকার কর্মকর্তাকে প্রথমে ইংরেজিতে জিজ্ঞাস করলাম, জবাব দিয়েছিল, ইল্লা মানে জানেনা। বুঝলাম সে ইংরেজী বুঝেনা। হিন্দিতে জিজ্ঞাস করলাম, সেই একই জবাব। সেখান থেকে সরে এসে একে ওকে ধরে ধরে জিজ্ঞাস করছি কিন্তু উত্তর পাচ্ছিনা। তারা সবাই তাদের মাতৃভাষা তামিল ছাড়া অন্য কোন ভাষায় কথা বলবেনা বুঝলাম। মেজাজটা গরম করে বলে বসলাম, ব্লাডি ইন্ডিয়ান। আমার পাশে একজন সুইপার ষ্টেশন পরিষ্কার করছিল। হঠাৎ খেয়াল করলাম, সে তার কাজ বাদ দিয়ে আমার দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে। দোয়া দুরুদ পড়তে পড়তে সেখান থেকে কেটে পরি।

আমরা কিছু পারি আর না পারি, একটা ব্যাপারে যথেষ্ট পারদর্শী। কিভাবে, কতো সুন্দর করে নিজের ব্যর্থতা অন্যের ঘাড়ে চাপাতে হয় তা আমাদের থেকে বেশী আর কেউ পারে বলে আমার মনে হয়না। এ কর্মটা আমরা বেশ আন্তরিকতার সাথেই করে থাকি। এই বালিশ চালাচালি খেলাটা আমরা রীতিমতো শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি।

দেশের যে কোন সমস্যা, নির্দিধায় তা আমরা বিরোধীদলের উপর চাপিয়ে দিচ্ছি। বিরোধীদলও তা সরকাররের উপর চাপাচ্ছে। এ নিয়ে আবার জাতীয় সংসদেও রীতিমতো উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। সেই সংসদ থেকে শুরু করে পাড়ার চায়ের দোকান পর্যন্ত সবখানেই এই ব্যর্থতার বালিশ একজন আর একজনের কাছে দিয়ে দিতে ব্যস্ত।

ছোট বেলায় স্কুলের ‘আমার বাংলা’ বইয়ে একটা গল্প পড়েছিলাম, দশের লাঠি একের বোঝা। কি চমৎকার ছিল সেই গল্প। আজকালকার বইগুলোতে এই গল্প আছে কিনা জানিনা। তবে আমাদের পূর্বপুরুষরা যে এই গল্পটা পড়েননি বা শুনেননি তা আমি শতভাগ নিশ্চিত।

প্রাশ্চাত্যের দেশগুলোতে দেখি নির্বাচনের ফলাফলের পরপরই বিজয়ী দলকে শুভেচ্ছা জানায় প্রতিপক্ষ। শুধু শুভেচ্ছা নয় যৌথভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবারও অঙ্গীকার করেন তার। আর আমাদের দেশে! সেই ১৯৯১ সাল থেকে দেখে আসছি, নির্বাচনে হেরে গেলেই সূক্ষ কারচুপির অভিযোগ। বিরোধীদলগুলোর সংসদ বর্জন।

অন্যান্য দেশগুলোতে যেকোন জাতীয় ইস্যুতে দেখা যায় দল মত নির্বিশেষে সবাই একত্রে কাজ করে। সবাই জাতীয় স্বার্থে একত্রিত হয়ে যায়। আজ আমেরিকার সিআইএর সাবেক গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষক এডওয়ার্ড স্নোডেন এর ইস্যুতে সরকারী দল আর বিরোধীদল যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আর আমরা? একে অন্যকে খালি দোষারোপই করে যাই। কখনও একত্রিত হতে পারিনা। কখনও শুনলাম না আমাদের কোন নেতা বলছেন, আসুন আমরা সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ করি।

জিএসপি সুবিধা যে কারনেই স্থগিত করা হোকনা কেন, আমরা কি পারিনা সম্মিলিতভাবে তা আবার পুনুরুদ্ধার করতে? আমরা কি পারিনা জাতীয় সমস্যাগুলোতে কাদা ছোড়াছুড়ি না করে কাঁধ কাঁধ মিলিয়ে সমাধান করতে?

ভুলে গেলে চলবে না, দশের লাঠি একের বোঝা। আজ যা সরকারের একার পক্ষে বোঝা, তা সরকার আর বিরোধীদলের সমন্বয়ে একটা তাসের ঘর মাত্র। আসুন ব্যক্তিগত হানাহানি, ক্ষমতার কাড়াকাড়ি বাদ দিয়ে দেশের জন্য কিছু একটা করি। দেশকে দিতে চাইলে তা যেকোন স্থান থেকেই দেওয়া যায়, ক্ষমতায় আরোহন অপরিহার্য নয়। আপনি দেশকে দিয়ে যান, জনগন আপনাকেই সাপোর্ট দিবে।।

‎#ভাঙ্গাচশমা


০৫/০৭/২০১৩

বিরোধীদল

জিএসপি সুবিধা স্থগিত।
কেন?
কারনতো যথাযথভাবেই বর্ননা করা হয়েছে হোয়াট হাউস থেকে।
না, না, ঐটা আসল কারন নয়।
তাহলে?
বিরোধী দলীয় নেত্রী চিঠি দিয়ে জিএসপি সুবিধা বন্ধ করেছে।।

শেয়ার মার্কেট ক্যালেংকারি কারা করলো?
আবার কারা করবে, প্রধানমন্ত্রীতো স্পষ্ট করেই বলে দিল, ফালু আর বাদলকে ধরলেই বেরিয়ে যাবে শেয়ার মার্কেটের টাকা কই গেলো।
এই ফালু আর বাদল কে?
কি কন, আপনি জানেন না তারা কে? বাংলাদেশে আছেন কেন? ফালুতো বিরোধী দলের........
ও আচ্ছা! তাহলে এইটাও বিরোধী দলের কাজ।
জি ভাই, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বিরোধীদল চক্রান্ত করে একের পর এক অঘটন ঘটিয়ে চলছে।

ও! তাই নাকি? তাহলে দেশটা চালাচ্ছে কে? নিশ্চয়ই বিরোধীদল।
ধুর মিয়া কি যে কন, সরকার আছে না! বিরোধীদল চালাইবো কেমনে.....
সবইতো কইলেন বিরোধীদল করছে, তাহলে সরকার আসলো কোথা থেকে?

‎#ভাঙ্গাচশমা


০৫/০৭/২০১৩

তিস্তা চুক্তি মোবারক

তিস্তা চুক্তি মোবারক।

পশ্চিম বঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী প্রমান করলেন তাঁর দেশপ্রেম এবং দূরদর্শী রাজনীতি। নি:সন্দেহে মমতা একজন সাচ্চা দেশপ্রেমিক। মাগার আমরা?

একটা স্রোতস্বিনী নদীকে খুন করে তার উপর পিচ ঢালা রাস্তা বানিয়ে দাদা বাবুদের খুশি করেছি একটু সাথে থাকার জন্য। একবারও ভেবে দেখেনি, যে জনগোষ্ঠীর আস্থা নিয়ে সরকার গঠিত হয়েছে তাদের কি হবে? এই তিস্তাকে কেন্দ্র করেই ঐ জনগোষ্ঠীর অনেকের জীবিকা ...............

এ কোন রাজনীতি? আমরা কাকে ভোট দিলাম? কে সরকার গঠন করলো? কাদের সরকার তারা? এটা কি শুধুই ক্ষমতা দখলের রাজনীতি? এটাই কি দেশ প্রেমিক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া রাজনীতি?

মাননীয় সরকার, কি পেলেন আপনারা এইসব আত্মঘাতি চুক্তি করে? কি পাওয়ার ছিল আপনাদের? কি করার কথা ছিল আপনাদের?

তারপরও আপনারা বলবেন, যত দোষ নন্দঘোষ...........

‎#ভাঙ্গাচশমা


০৪/০৭/২০১৩

অতীত ইতিহাস

ইতিহাস একটা জাতির মধ্যে জীবনীশক্তি সঞ্চার করে। কোন জাতিকে ধ্বংস করতে হলে তার অতীত ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে অথবা বিকৃত করে পেশ করতে হবে। একজন তথাকথিত মুসলমান যদি ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারনা লাভের সুযোগ না পায় এবং তার জাতির অতীত ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞ থাকে, তবে তার মুখ থেকে এমন সব মুসলিম ও ইসলাম বিরোধী কথা বেরুবে য কথা একজন অসুলমান মুখ থেকে বের করতে অনেক সাতপাঁচ ভাববে। এ ধরনের হস্তীমূর্খ মুসলমানের সংখ্যা ক্রমশ: বাড়ছে এবং মুসলমানদের জাতশত্রুগন তাদেরকে ফুলের মালা দিয়ে বরন করছে। ---- বাংলার মুসলমানদের ইতিহাস, আব্বাস আলী খান।।

‎#ইসলাম

আমি সেকুলার মুসলিম

’আমি সেকুলার মুসলিম’।

কথাটা আজকাল আধুনিক ছেলে-মেয়েদের মাঝে বেশ শোনা যায়। শুধু যে তারা বলে তা নয়, এই সেকুলারিটি নিয়ে তারা যথেষ্ট গর্বও করে থাকে।

শুধু যদি কথাটা তরুন সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলেও হতো। কথাটা যে রীতিমতো আমাদের নেতা-নেত্রী থেকে শুরু করে আধুনিক আলেম সমাজও যথেষ্ট যুক্তি সহকারে বলছে! আমি সত্যিকার অর্থেই ভীত-সন্ত্রস্থ। তারা আসলেই কি বলছে? যা বলছে তা কি তারা বুঝে বলছে?

অনেকেতো আবার আরও এক ডিগ্রী বাড়িয়ে আমাদের নবী (সা:) কেও সেকুলার প্রমান করার চেষ্টায় আছে। সত্যি করে বলুনতো, আসলেই আপনারা কারা? কি আপনাদের অভিপ্রায়?

যেদিন একজন মুসলমান কালেমা শাহাদাত বা অন্য যে কোন কালেমা তার মুখ দিয়ে উচ্চারন করলো সেইদিনইতো সে সকল সেকুলারিজমকে ছুড়ে ফেলে দিলো। তারপর আবার কোথা হতে মুসলমানদের মাঝে সেকুলার শব্দটা উদয় হলো তা আমার বোধগম্য নয়।

মনে করে দেখুন, মক্কার কুফররাও কিন্তু জানতো ও মানতো আল্লাহ তাদেরকে সৃষ্টি করেছে, এই মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ, ‍বৃষ্টি দেবার মালিক আল্লাহ, ফসল দেওয়ার মালিক আল্লাহ। তারপরও কিন্তু তারা ইসলামী ইতিহাসে কাফের বলে চিহ্নিত। কেন, একবারও কি ভেবে দেখেছেন? ভাবেননি, তাই আপনারা নিজেদেরকে সেকুলার দাবী করছেন।

আমি ধরে নিলাম, আপনারা সবাই জানেন সেকুলার অর্থ, তারপরও যারা জানেন না তাদেরকে অনুরোধ করবো একটু কষ্ট করে জেনে নিন। আজ আপনারা নিজেদেরকে যা বলে দাবী করছেন, কাল হাশরের ময়দানে যদি তা আপনাদের বিরুদ্ধে যায় তার পরিনতি হবে ভয়াবহ।

যেহেতু আমরা সবাই ইংরেজী শিক্ষাকে বেশ গুরুত্ব দেই, তাই আমি এই ইংরেজী শিক্ষা ব্যবস্থার আলোকেই বলছি, সেকুলার শব্দে অর্থ, যে কোন ধর্ম মানে না বা যে কোন ধর্মের অন্তর্ভক্ত নয়।

তাই বন্ধুরা, আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করবো নিজেকে একজন মুসলাম হিসেবে পরিচিত করুন। মুসলমানদের মাঝে কোন সেকুলার, জঙ্গি, চরমপন্থী নেই। আছে ভ্রাতৃত্বের পথ, আছে আলোকউজ্জল পথ....... 


সময় ফুরিয়ে যাবার আগেই আসুন ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নেই। অন্যথায়, আল্লাহ হিসাব গ্রহনে তৎপর......................


০৪/০৭/২০১৩

মিডিয়া

আজ যদি কোন মসজিদের ইমাম বা কোন মাদ্রাসার ছাত্র বা ইসলামী লেবাসধারি কোন ব্যক্তি তার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাউকে আঘাত করতো বা কারও সাথে ফ্যাসাদে জড়িয়ে পড়তো তাহলে দেখা যেত বিশ্বের সব মিডিয়া একত্রিত হয়ে কতো চটকদার ভাষায় কতোটা আদিরস নিসৃত শব্দমালা দ্বারা পুরো মুসলমান জাতিকে দোষী সাব্যস্ত করতে .....................

প্রতিটি নাটক, সিনেমাতে দেখা যায়, দাড়ি টুপিওয়ালারা দুষ্ট প্রকৃতির। কেন ভাই, আপনারা কি কোট-টাই পড়া কোন দুষ্ট দেখেন না? নাকি তাদের ব্যাপারে গান্ধীর বান্দরের মতো, বুরা মাত দেখ (খারাপ দেখোনা), বুরা মাত শুন (খারাপ শুন না)...........

অথচ, তিন-চারদিন আগে ভ্যাটিকান ব্যাংক কেলেঙ্কারির জন্য ইতালির শীর্ষস্থানীয় পুরোহিতকে আটক করেছে পুলিশ এই খবরটা তেমন গুরুত্ব সহোকারে কোথায়ও প্রকাশিত হয়েছে বলে দেখলাম না।

‎#মিডিয়ারং


০৪/০৭/২০১৩

স্নোডেন

বর্তমান সময়ে বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন, সিআইএর সাবেক গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষক এডওয়ার্ড স্নোডেন। তিনি একের পর এক বোম ফাটিয়ে চলছেন আর আমেরিকার প্যান্টের বোতাম একটার পর একটা খুলে যাচ্ছে।

ডিয়ার আমেরিকা, জীবনে এই প্রথম আমি তোমার বক্তব্যের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করলাম। আসলেই স্নোডেন একটা বেইমান। সে তার জাতির সাথে বেইমানী করেছে।

তবে স্নোডেনের ঘটনাটা আবারও প্রমান করলো মিডিয়া জগত কতটা জঘন্য। উইকিলিকস এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়াস এ্যাসেন্জ এর পথে চলতে গিয়ে বেচারা এখন আশ্রয়হীন এবং সত্যিকার অর্থে একজন কপর্দক শূন্যে মানবে পরিনত হয়েছেন।

জানিনা, বিধাতার কি ইচ্ছা, আপতত, স্নোডেন এর একমাত্র সম্ভাব্য আশ্রয় স্থল হতে পারে আন্তুজার্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, অন্যথায় গভীর অন্ধকূপ................

‎#মিডিয়ারং


০৪/০৭/২০১৩

তত্বাবধায়ক সরকার

তত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন, এবারের তত্বাবধায়ক সরকারকে নাকি কেয়ামতের আগ পর্যন্ত আর নামানো যাবেনা।

যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের কথা বলেন, তখন আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে, তাঁর কাছে নিশ্চয় এর সপক্ষে যথেষ্ট যুক্তি-প্রমান বা তথ্য রয়েছে। অন্যথায় এ ধরনের বক্তব্য অবশ্যই তিনি দিতেননা তাও আবার জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে।

আমি যতটুকু জানি বা বুঝি, অক্টোবরে সংসদ ভেঙ্গে যাবার পর নতুন সরকার গঠন হবার আগ পর্যন্ত বর্তমান প্রধানমন্ত্রীই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।

সেদিন ব্যরিস্টার মইনুল হোসেন কোন এক টকশো তে বললেন, আমাদের শুধু নির্বাচনটাই গনতন্ত্র। এখানে কোর্টকেও দলীয়করন করা হয়েছে। এটাকে সাময়িক সরকারের কোর্ট বলা চলে (আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন দ্রষ্টাব্য) ..........

আমরা দেখেছি ১৯৮৮, ১৯৯৬। শুনা যাচ্ছে ১৪ দলের অনেক শরীকদলও নাকি তত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বর্তমান সরকারও কিন্তু এই সরকারের ইস্যুতে ২০০৭ সালের আপোষহীন আন্দোলনের মাধ্যমে ১/১১ এর জন্ম দিয়েছিলেন। এবং ১/১১ এর পর অনেক সমাবেশেও দেখেছি তারা এর কৃতিত্ব দাবি করেছেন।

একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে আমাকে কিছু প্রশ্ন বারবার খুঁচিয়ে চলছে, এর উত্তর আজও আমি খুঁজে পাচ্ছিনা....

যদি শরীকদলগুলো সত্যি সত্যিই তত্বাবধায়ক সরকার এর পক্ষে থেকে থাকে তাহলে যেদিন এই আইনটি সংসদে পাশ হয়েছিল সেদিন তাদের ভূমিকা কি ছিল?

২০০৭ এর আন্দোলন এর ফসল যদি ১/১১ হয়ে থাকে তাহলে এর জন্য যে বা যারা দায়ি বা যারা এর কৃতিত্ব দাবী করছেন তাদের অধিনে কিভাবে একটা সুষ্ঠ নির্বাচন জনগন আশা করতে পারে?

যারা ১৯৯৬ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে রাজপথ উত্তাল করে রেখেছিল ও নির্বাচন বর্জন করেছিল এবং তার পরবর্তীতে তারা একটা নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবী আদায় করেছিল, কেন আজ তারা তাদেরই আরাধ্য সরকারের বিপরীতে অবস্থান নিচ্ছেন?

যে সরকার ১৯৯৬ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছিলেন আজ কেন তারা আবার সেই সরকারের পক্ষে রাজপথ উত্তাল করে জনগনের ভোগান্তি বাড়িয়ে চলছেন?

বস্তুত, ক্ষমতা দখলের এই রাজনীতিতে কোন দলই জনগনের উপর আস্থাশীল নয়। তারা যেভাবে জনগনের আস্থা নিয়ে নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করেছেন ভাবছেন জনগনও ................


০৩/০৭/২০১৩

পানসে লাগছে

জীবনটা এখন এ মুহুর্তে পানসে লাগছে। মন পড়ে আছে দূর আজানায়। যেখানে স্রোতস্বীনি নদী কুলকুল শব্দে বয়ে যায়। পাখিরা ডানা মেলে উড়ে যায়। মাঝে মাঝে নদীর বুকে ছোঁ মেরে ঐ দূর নীল আকাশে হারিয়ে যায় শঙ্খ চিল। পাড় জুড়ে ঘাসফুলগুলো বিছিয়ে আছে সাদা চাদরের মতো। একটা গাছের ছায়ায় আমি আমার প্রিয়াকে বুকে নিয়ে বসে আছি। উপলব্ধি করছি প্রাকৃতিক অপরূপ শোভা। গুন গুন শব্দে গান ভাজছে প্রিয়া। শব্ধগুলো শুনা যায় না কিন্তু তার গানের সুর এক মুর্ছনা জাগায় মনেপ্রানে।

তপ্ত দুপুরের রোদে চোখ মেলে তাকিয়ে আছি। উপলব্ধি করছি দিনের প্রখরতা। মাঝে মাঝে লু হাওয়ার মতো বাতাস বয়ে যায়। প্রিয়ার চুলগুলো আমার চোখে-মুখে জড়িয়ে যায়। স্নিগ্ধ হেসে মাথা নাড়িয়ে মুখ থেকে চুলগুলো সড়িয়ে নেয়। তার শরীরের গন্ধের মাদকতায় কি এক আবেশে আমি পুলকিত হয়ে যাই। তার নয়ন দু’টির পানে তাকিয়ে আমি হারিয়ে যাই...............


০২/০৭/২০১৩

রেশমা

রেশমা, সত্যিই তুমি অনন্যা....... অত্যন্ত বুদ্ধিমতার সাথে তুমি কলুষিত করলে রানা প্লাজার উদ্ধার কর্মীদেরকে, গনমাধ্যমগুলোকে, তারচেয়েও বেশী তুমি প্রশ্নবিদ্ধ করলে জাতীর গৌরব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে...........
রেশমা, তুমি জানলেও না কিভাবে তুমি আমাদের বিশ্বাসে চপেটাঘাত করলে................


কিন্তু, ভুলে গেলে সবকিছুরই একটা শেষ আছে..............


০১/০৭/২০১৩

সংবাদপত্র

যদি আপনি (পড়ার সময়) সতর্ক না থাকেন, তাহলে সংবাদপত্রগুলো আপনাকে এমনসব মানুষকে ঘৃনা করতে শেখাবে, যারা আসলেই নির্যাতিত। আর এমনসব মানুষকে ভালবাসতে শেখাবে, যারা নির্যাতনকারী।
---- ম্যালকম এক্স (যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গ নেতা ও মানবাধিকার কর্মী)

পোষাক শিল্প

কাপড় বুনা এবং সেলাইয়ের ক্ষেত্রে আমাদের ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের পুরানো... আমরা মসলিন বুনেছি, আমরা সিল্ক বুনেছি... বেনীয়ারা নিয়ে গিয়া সারা দুনিয়ায় ফেরী করেছে.....

শিল্প বিপ্লবের ধাক্কা আমাদের একটু থমকে দিয়েছিল... কিন্তু আমাদের মেয়েদের নরম হাতের বুননী আর সেলাই আবার ফিরিয়ে আনতে বাধ্য করেছে পশ্চিমা ক্রেতাদের.... যত যাই বলুক সস্তা শ্রম আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের মূল হাতিয়ার...... আমি বলি, না....... কাপড় শিল্পের হাজার বছরের ঐতিহ্য আমাদের মূল চালিকা শক্তি....

রক্তচোষা মালিক শ্রেণী যদি লাভের ৮০ ভাগ নিজেদের ভোগবিলাসের জন্য না রেখে, তার শ্রমিক শ্রেণীর জন্য রাখে, তাহলে একদিন আমরা বলতে পারবো, আমেরিকা তোমার কাপড় বুনার জন্য আমাদের ১৫% এক্সট্রা প্রনোদনা দিতে হবে, লিখে রাখেন.........

পৃথিবীর কেউ আমাদের থেকে কম দামে গুনগতমান সম্মন্ন সেলাই করতে পারবে না.... দরকার শুধু অপ-রাজনীতির বেড়াজাল থেকে আমাদের এই শিল্পকে দূরে রাখা.... আর লাভের অংশটা মালিক শ্রমিকের মধ্যে ন্যায্যত্ব ভাগাভাগি করা............

সৌজন্যে : Tariqul Hassan


৩০/০৬/২০১৩

অসম

সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা জমপেশ নাস্তা সেরে ব্লাক কফির মগটা হতে নিয়ে বারান্দায় গেলাম মনের সুখে দিনের প্রথম সিগারেটটা ধ্বংস করার জন্য। প্যাকেটটা হতে নিয়েই দেখলাম মাত্র একটাই অবশিষ্ট আছে। সেটারই সদব্যবহার করলাম।

আজ সকাল থেকেই আষাঢ়ের উপস্থিতিতি ভালই জানান দিচ্ছে। আশেপাশের রাস্তায় যথারিতি বান ঢেকেছে। মানুষজন কেউ মাথায় ছাতা নিয়ে কেউবা ভিজে ভিজে তাদের স্ব স্ব কর্মে সাড়া দিচ্ছে। এইসব হাবিজাবি দেখতে দেখতে সিগারেটটা শেষ করে ঘরে ফিরে আসলাম।

যথারিতি একটা নির্দিষ্ট সময় পর শরীর তার নিকোটিনের চাহিদার জানান দিল। প্যাকেট শূন্য। পাশের দোকানটাও বৃষ্টির কারনে বন্ধ করে দিয়েছে ক্রেতার অনুপস্থিতিতে। সিগারেট আনতে হলে দূরের একটা চায়ের টঙ্গ দোকানে যেতে হবে। যে অঝোড় ধারায় বর্ষন হচ্ছে তাতে বাহির হতে চরম অলসতা লাগলো। নিজেকে বললাম, কিছুক্ষন সবুর করো, বৃষ্টিটা একটু থামলেই…।

শরীরটা দেখলাম সুবোধ বালোকের মতো অনুরোধটা রাখলো। সময় তার নিয়ম অনুযায়ী বয়ে চলছে। থেমে থেমে মাথাটা তাগাদা দিতে লাগলো। বৃষ্টিটাতো থামছেই না। চলোনা, অনেকদিন বৃষ্টিতে ভেজা হয়না, আজ না হয় ছেলেবেলার স্মৃতিটুকু আরও একবার ঝালিয়ে নেই। তুমিতো অন্যান্যদিন ব্যস্ত থাক, আজই সুযোগ চলো একটু ভিজে আসি।

বুঝলাম, নিকোটিনের চাহিদাটা আমার সাথে ছলনার আশ্রয় নিচ্ছে। মনকে ক্ষীন একটা বাঁকা হাসি উপহার দিয়ে বললাম, ধীরে বন্ধু ধীরে, এতো উতলা হবার কি আছে? দু’দিন বাদে রোজা তখনতো তোমাকে সারাদিনই সহ্য করতে হবে। এখন যখন সুযোগ পেয়েছো একটু চর্চা করে নেও।

খেলাটা বেশ জমে উঠেছিল। এ যেন অনেকটা ছোটবেলার চোর-পুলিশ খেলা। জয়ের পাল্লাটা ধীরে ধীরে আমার দিকে ঝুঁকে আসছিল। ঠিক তখনই আমার সুবুদ্ধির উদয় হলো। আমার মতো ৫ ফুট ৮ ইঞ্চির মানুষের পক্ষে ৩ ইঞ্চির কারও সাথে লাগতে যাওয়াটা মানায় না। হাজার হোক, আমি সৃষ্টির সেরা, আমি কিভাবে একটা ৩ ইঞ্চির নির্জীব পদার্থের সাথে লাগতে যাই। ছি:! ছি:! এ যে অসম যুদ্ধ। এতো মানব সম্প্রদায়ের জন্য ঘোর অপমান। না, তা আমি কখনও হতে দিবনা। ………….


২৯/০৬/২০১৩

মাকে নিয়ে বিখ্যাতদের উক্তিঃ

১. আব্রাহাম লিংকন- যার মা আছে সে কখনইগরীব নয়।

২. জর্জ ওয়াশিংটন- আমারদেখা সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা হলেন আমার
মা।মায়ের কাছে আমি চিরঋণী। আমার জীবনেরসমস্ত অর্জন তারই কাছথেকে পাওয়া নৈতিকতা, বুদ্ধিমত্তা আরশারিরীক শিক্ষার ফল।

৩. জোয়ান হেরিস-- সন্তানেরা ধারালো চাকুরমত। তারা না চাইলেও মায়েদের কষ্ট দেয়।আর মায়েরা তাদের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্তসন্তানদের সাথে লেগে থাকে।

৪. সোফিয়া লরেন-- কোন একটা বিষয়মায়েদেরকে দুইবার ভাবতে হয়--একবার তারসন্তানের জন্য আরেকবার নিজের জন্য।

৫. মিশেল ওবামা--আমাদের পরিবারে মায়েরভালোবাসা সবসময় সবচেয়ে টেকসই শক্তি। আরতার একাগ্রতা, মমতা আর বুদ্ধিমত্তা আমাদেরমধ্যে দেখে আনন্দিত হই।
 

৬. নোরা এফ্রন--মা আমাদের সবসময়এটা বুঝাতে চাইতেন যে জীবনের চরম কষ্টেরমূহুর্তগুলো তোমাদের হাসির কোন গল্পের অংশহয়ে যাবে এক সময়।

৭. মাইকেল জ্যাকসন-- আমার মা বিস্ময়কর আরআমার কাছে উৎকর্ষতার আরেক নাম। ৮. শিয়া লাবেউফ-- সম্ভবত আমারদেখা সবচেয়ে আবেদনময়ী আমার মা।

৯. দিয়াগো ম্যারাডোনা-- আমারমা মনে করেন আমিই সেরা আর মা মনে করেনবলেই আমি সেরা হয়ে গড়ে উঠেছি। 


১০. এলেন ডে জেনেরিস-- আমার বসার ঘরেরদেয়ালে আমার মায়ের ছবি টাঙানো আছে,কারণ তিনিই আমার কাছে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।

সংগ্রহ।।

ছুঁচো সম্প্রদায়

কিছু বলবো কি? বললেই তো আবার বলবেন, হাজী সাহেবের পোলার মুখ খারাপ। না বললে আবার বিবেক দংশাইতে থাকে। বেশী কিছু বললে পরে তা আবার আদালতে আমার বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসেবে দাঁড় করাবেন। ইমেইল এর মতো একটা ভ্যালিড ডকুমেন্ট আদালতে ভ্যালিডিটি পায়না, কিন্তু ফেসবুক/ব্লগ দিব্যি সাক্ষী দিতে পারবে। সত্যিই সেলুকাস!

উফ্! সব সমস্যা কি আমাদের দেশেই নাকি? কিছু বললে দোষ, করলে দোষ, খাইলে দোষ (হেফাজতের তরমুজ) , না খাইলে দোষ (শাহাবাগের বিরানী), গেলে দোষ (মতিঝিল), না গেলে দোষ (শাহাবাগ)। দোষ আর দোষ।

তবে এই দোষারোপের দোষা-দোষীতে জীবনের কিছু ঘটনা মনে পড়ে যায়। স্কুলে যখন হোমওয়ার্ক না করে যেতাম, তখন দিব্যি সব দোষ কারেন্ট (বিদ্যুৎ) এর চাপাইয়া দিতাম। যখন ক্লাসে দুষ্টুমি করতাম তখন সব দোষ থাকতো সহপাঠীর, আমি একদম ধোয়া তুলসি পাতা, তারা আমাকে খোঁচা দিত বলেইতো ...... যখন পরীক্ষা খারাপ হতো তখন সব দোষ থাকতো হোম টিউটরের, তিনি পড়ান নাই বলেইতো...

কলেজে ভর্তি হয়ে যখন প্রথম প্রথম টাংকি মারতাম আর বাসায় নালিশ যেতো তখনও সব দোষ থাকতো পাড়ার ঐসব পোলাপাইনদের। আমিতো বাসার দিকেই আসছিলাম পথে ওদের সাথে দেখা হলো, একটু কথা বলছিলাম, আর তখনই.........

বিড়ি খাইতে গিয়ে যখন প্রথম ধরা খাইছিলাম, তখনও দোষ ছিল বড় ভাইদের। তারা আমারে কইছিলো, দুইটা বিড়ি আইনা দিতে, দোকানদাররে দিয়ে একটা ধরাইয়াও নিতে কইছিলো।

আসলেই, আমি একদম নি:ষ্পাপ, নি:কন্টক, যাকে বলেন একদম জ্যান্টেলম্যান। আমার মতো এতো সুবোধ, সুবোদ পোলা দুনিয়াতে আর একটাও খুঁজে পাওয়া যাবেনা .........

তবে বর্তমান এই সাইবার একটিভিষ্টদের যুগে একটা বিশাল সুবিধা পাওয়া যায়, আপনি যখন যা ইচ্ছা বলতে পারেন, যা ইচ্ছা লিখতে পারেন। এখানে সরকার বা আদালত আপনার বিরুদ্ধে বসে বসে আঙ্গুল চুষা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেনা। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? না হবারই কথা।

স্বাভাবিকই, আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগছে, যদি কিছু করতে নাই পারে তাহলে এতো টাকা খরচ করে এতো সময় অপচয় করে কেন তাহলে সরকার সংসদে বসে বিল পাস করলো, ফেসবুক/ব্লগ আদালতে সাক্ষী হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

হা, হা, হা, সরকার করবে কিভাবে! ফেসবুক/ব্লগে আপনার কোন লেখা থাকলেতো তা আদালতে ব্যবহার করবে। আদালতে পেশ করার আগেইতো ঐ ছুঁচোগুলো আপনার পোষ্ট খেয়ে ফেলবে.........

ধন্যবাদ, ছুঁচো সম্প্রদায়, অনলাইনের অনেককে আদালতের বা সরকারের রোষানলে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। আসলেই আপনারা আছেন বলেই আমারা আমাদের মনের জ্বালাগুলো লেখার অক্ষরে রূপান্তরিত করে একটু হালকা হতে পারি। অন্যথায়, এই ক্ষোভগুলো জমে জমে একটা বিস্ফোরন ঘটিয়ে ...................


২৭/০৬/২০১৩