Divide
and Rule, বাক্যটার সাথে কম-বেশী আমরা সবাই পরিচিত। বাক্যটি যদিও শাসন ও
শোষনের জন্য ব্যবহৃত হয় তথাপি এর নানামুখী ব্যবহারিক দিক রয়েছে। এটা মূলত
ব্যবস্থাপনার (Management) একটি যুগান্তকারী উক্তি।
যে কোন বড় একটা কিছুর ব্যবস্থাপনা খুবই কষ্টসাধ্য। কিন্তু যদি একে ছোট ছোট খন্ডে বিভক্ত করা হয় তবে খুব সহজেই তাকে ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ফলাফল আদায় করা সম্ভব। এই জন্য যুগে যুগে আধুনিক ব্যবস্থাপনায় এই বাক্যটিকে আমরা আমাদের অজান্তেই ব্যবহার করে থাকি।
উদাহরন স্বরূপ যদি আমারা আমাদের যে কোন প্রজেক্টকে ধরি, তাহলে Divide and Rule এর ব্যবহার স্পষ্টভাবেই আমাদের দৃষ্টিগোচর হবে। যে কোন প্রজেক্টকে আমরা প্রথমেই বিভিন্ন খন্ডে (Module) বিভিক্ত করি এবং Critical Path দ্বারা মডিউলগুলোর মধ্যে একটা সম্পর্ক স্থাপন করি। পরে সমস্ত মডিউলগুলো একসাথে করে একটা পূর্নাঙ্গ প্রোজেক্ট দাঁড় করাই।
আমরা আমাদের কর্মস্থলগুলোতে দৃষ্টিপাত করলেও একই চিত্র দেখতে পাবো। সম্পূর্ন স্টাফদেরকে কাজের ভিন্নতার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে বিভক্ত করা হয় এবং মানব সম্পদ বিভাগ এই ডিপার্টমেন্টগুলোর মাঝে একটা সমন্নয় সৃষ্টি করে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে স্টাফদের সৃজনশীলতার ও কর্মক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার সম্ভব।
ঠিক তেমনিভাবে রাজনীতিতেও একই পদ্ধতি অনুসরন করা হচ্ছে। বিজ্ঞ রাজনীতিবীদরা সমগ্র জাতিকে বিভিন্ন দলে বা গোষ্ঠীতে বিভক্ত করে অনায়াসে শাসন বা শোষন করে থাকেন। আসুন দেখা যাক সেই বিজ্ঞ রাজনীতিবীদরা আমাদেরকে কতগুলো খন্ডে বিভক্ত করেছেন....
১. সরকারী দল ২. সরকারী ক্যাডার বাহিনী ৩. বিরোধীদল ৪. আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী (পুলিশ, র্যাব, বিজিবি), ৫. আর্মি ৬. জঙ্গী ৭. মৌলবাদী ৮. আস্তিক ৯. নাস্তিক ১০. শাহাবাগী ১১. হেফাজতি ইত্যাদি ইত্যাদি।
অথচ, আমরা সবাই স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা সবাই একই জাতীয়তায় বিশ্বাসী। সবাই একই ভূখন্ডের অধিবাসী। তারপরও কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সমগ্র জাতিকে বিভক্ত করে পারষ্পরিক দাঙ্গা হাঙ্গামায় উসকে দিয়ে তাদের মসনদ আরোহনের আকাংক্ষা চরিতার্থ করে থাকেন...............
#ভাঙ্গাচশমা
যে কোন বড় একটা কিছুর ব্যবস্থাপনা খুবই কষ্টসাধ্য। কিন্তু যদি একে ছোট ছোট খন্ডে বিভক্ত করা হয় তবে খুব সহজেই তাকে ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ফলাফল আদায় করা সম্ভব। এই জন্য যুগে যুগে আধুনিক ব্যবস্থাপনায় এই বাক্যটিকে আমরা আমাদের অজান্তেই ব্যবহার করে থাকি।
উদাহরন স্বরূপ যদি আমারা আমাদের যে কোন প্রজেক্টকে ধরি, তাহলে Divide and Rule এর ব্যবহার স্পষ্টভাবেই আমাদের দৃষ্টিগোচর হবে। যে কোন প্রজেক্টকে আমরা প্রথমেই বিভিন্ন খন্ডে (Module) বিভিক্ত করি এবং Critical Path দ্বারা মডিউলগুলোর মধ্যে একটা সম্পর্ক স্থাপন করি। পরে সমস্ত মডিউলগুলো একসাথে করে একটা পূর্নাঙ্গ প্রোজেক্ট দাঁড় করাই।
আমরা আমাদের কর্মস্থলগুলোতে দৃষ্টিপাত করলেও একই চিত্র দেখতে পাবো। সম্পূর্ন স্টাফদেরকে কাজের ভিন্নতার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে বিভক্ত করা হয় এবং মানব সম্পদ বিভাগ এই ডিপার্টমেন্টগুলোর মাঝে একটা সমন্নয় সৃষ্টি করে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে স্টাফদের সৃজনশীলতার ও কর্মক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার সম্ভব।
ঠিক তেমনিভাবে রাজনীতিতেও একই পদ্ধতি অনুসরন করা হচ্ছে। বিজ্ঞ রাজনীতিবীদরা সমগ্র জাতিকে বিভিন্ন দলে বা গোষ্ঠীতে বিভক্ত করে অনায়াসে শাসন বা শোষন করে থাকেন। আসুন দেখা যাক সেই বিজ্ঞ রাজনীতিবীদরা আমাদেরকে কতগুলো খন্ডে বিভক্ত করেছেন....
১. সরকারী দল ২. সরকারী ক্যাডার বাহিনী ৩. বিরোধীদল ৪. আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী (পুলিশ, র্যাব, বিজিবি), ৫. আর্মি ৬. জঙ্গী ৭. মৌলবাদী ৮. আস্তিক ৯. নাস্তিক ১০. শাহাবাগী ১১. হেফাজতি ইত্যাদি ইত্যাদি।
অথচ, আমরা সবাই স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা সবাই একই জাতীয়তায় বিশ্বাসী। সবাই একই ভূখন্ডের অধিবাসী। তারপরও কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সমগ্র জাতিকে বিভক্ত করে পারষ্পরিক দাঙ্গা হাঙ্গামায় উসকে দিয়ে তাদের মসনদ আরোহনের আকাংক্ষা চরিতার্থ করে থাকেন...............
#ভাঙ্গাচশমা
No comments:
Post a Comment