বাসে
করে নিউমার্কেট যাচ্ছিলাম। আমার পাশে দাঁড়ানো একজনের মোবাইলে ফোন আসলো।
যথারিতি সে ফোনটা বের করে কথা শুরু করলো। আমি আমার মতো বসে আছি। রাস্তায়
প্রচন্ড জ্যাম। কিছু দূর এগোয় আবার বসে থাকি বেশ কিছুক্ষন। হঠাৎ তার
কথাবর্তার একটা অংশ আমার কানে আসলো। সে ঐপ্রান্তে ফোনে থাকা কাউকে বলছে,
‘ভাই, আমারে পাগলা কুত্তা কামড়াইছে, আমি মহাখালি গেছিলাম ইনজেকশন নিতে...’।
কথাটা শুনে ছোট বেলায় পড়া একটি কবিতার অংশ বিশেষ মনে পড়লো..
’কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে - কভূ আশীবিষে দংশেনি যারে...’
সত্যিই তো যাকে পাগলা কুকুর কামড়িয়েছে কেবলমাত্র সেই বুঝে কামড়ের যন্ত্রনা কি অথবা ইনজেকশন নেওয়ার যন্ত্রনা। ঐ লোক ফোনে যাকে বলছে সেও যে কিছু অনুভব করতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না। সে কেনো, আমিতো লোকটির একদম কাছেই বসে আছি, আমার গা ঘেষে লোকটি দাঁড়িয়ে আছে, আমিও তাতে বিন্দুমাত্র উপলব্ধি করতে পারছি না।
ভাবছিলাম, এই যে কুকুরগুলো যখন তখন মানুষদের কামড়ায়, তারা কি আদৌ বুঝে কামড়ের ব্যাথা? যদি তারা বুঝতো তাহলে কি তারা আর কাউকে কামড়াতো?
এখন তাহলে কি উপায়? যে করেই হোক তাদেরকেও বুঝতে দেওয়া উচিত এই কামড়ের যন্ত্রনা। কিন্তু কিভাবে? ছেলে বেলায় পড়া আরও একটা কবিতা মনে পড়ে গেলো...
’কুকুরের কাজ কুকুর করেছে
কামড় দিয়েছে পায়,
তা ব’লে কুকুরে কামড়ানো কি রে
মানুষের শোভা পায় ?’
হ্যাঁ, সত্যিই তো, কুকুর কামড় দিয়েছে বলেতো মানুষের শোভা পায়না পাল্টা কুকুরকে কামড়ানো। কিন্তু যতোক্ষন এই কুকুরগুলোকে কামড়ের যন্ত্রনা প্রতিউত্তরে না দেওয়া যাবে ততোক্ষন তারা একের পর এক কামড়িয়েই যাবে। একজন দু’জন করে তারা আক্রান্ত করতে থাকবে, এক সময় ..........
আর আমরা বোকার মতো সেই অসহ্য যন্ত্রনা ভোগ করে যাবো আর নিজের গাটের পয়সা খরচ করে ইনজেকশন এর সূঁচালো খোচা খেয়েই যাবো....
একসময় খুব ভুতের সিনেমা দেখতাম। ড্রাকুলা সিনেমাটা দেখে বেশ কয়েকদিন রাতের বেলায় একলা টয়লেটে যেতে ভয় পেতাম। দরকার হলে আব্বুকে সাথে নিয়ে যেতাম। সেইখানে দেখা কিছু অংশ বিশেষ মনের অজান্তেই মনের পর্দায় ভেসে উঠলো....
রাতে ড্রাকুলা বের হবার কিছুক্ষন আগে আশে পাশের কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ করে চেঁচিয়ে উঠতো। তার কিছুক্ষন পর একদল হায়না ডেকে উঠতো আর কুকুরগুলো কেউ কেউ করতে করতে ভয়ে শিথিয়ে যেতো...
কোথা হতে হঠাৎ করে বাসের হেল্পার এসে বললো, ’স্যার, টিকেট হইছে ...................... ‘
#ভাঙ্গাচশমা
’কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে - কভূ আশীবিষে দংশেনি যারে...’
সত্যিই তো যাকে পাগলা কুকুর কামড়িয়েছে কেবলমাত্র সেই বুঝে কামড়ের যন্ত্রনা কি অথবা ইনজেকশন নেওয়ার যন্ত্রনা। ঐ লোক ফোনে যাকে বলছে সেও যে কিছু অনুভব করতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না। সে কেনো, আমিতো লোকটির একদম কাছেই বসে আছি, আমার গা ঘেষে লোকটি দাঁড়িয়ে আছে, আমিও তাতে বিন্দুমাত্র উপলব্ধি করতে পারছি না।
ভাবছিলাম, এই যে কুকুরগুলো যখন তখন মানুষদের কামড়ায়, তারা কি আদৌ বুঝে কামড়ের ব্যাথা? যদি তারা বুঝতো তাহলে কি তারা আর কাউকে কামড়াতো?
এখন তাহলে কি উপায়? যে করেই হোক তাদেরকেও বুঝতে দেওয়া উচিত এই কামড়ের যন্ত্রনা। কিন্তু কিভাবে? ছেলে বেলায় পড়া আরও একটা কবিতা মনে পড়ে গেলো...
’কুকুরের কাজ কুকুর করেছে
কামড় দিয়েছে পায়,
তা ব’লে কুকুরে কামড়ানো কি রে
মানুষের শোভা পায় ?’
হ্যাঁ, সত্যিই তো, কুকুর কামড় দিয়েছে বলেতো মানুষের শোভা পায়না পাল্টা কুকুরকে কামড়ানো। কিন্তু যতোক্ষন এই কুকুরগুলোকে কামড়ের যন্ত্রনা প্রতিউত্তরে না দেওয়া যাবে ততোক্ষন তারা একের পর এক কামড়িয়েই যাবে। একজন দু’জন করে তারা আক্রান্ত করতে থাকবে, এক সময় ..........
আর আমরা বোকার মতো সেই অসহ্য যন্ত্রনা ভোগ করে যাবো আর নিজের গাটের পয়সা খরচ করে ইনজেকশন এর সূঁচালো খোচা খেয়েই যাবো....
একসময় খুব ভুতের সিনেমা দেখতাম। ড্রাকুলা সিনেমাটা দেখে বেশ কয়েকদিন রাতের বেলায় একলা টয়লেটে যেতে ভয় পেতাম। দরকার হলে আব্বুকে সাথে নিয়ে যেতাম। সেইখানে দেখা কিছু অংশ বিশেষ মনের অজান্তেই মনের পর্দায় ভেসে উঠলো....
রাতে ড্রাকুলা বের হবার কিছুক্ষন আগে আশে পাশের কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ করে চেঁচিয়ে উঠতো। তার কিছুক্ষন পর একদল হায়না ডেকে উঠতো আর কুকুরগুলো কেউ কেউ করতে করতে ভয়ে শিথিয়ে যেতো...
কোথা হতে হঠাৎ করে বাসের হেল্পার এসে বললো, ’স্যার, টিকেট হইছে ...................... ‘
#ভাঙ্গাচশমা
No comments:
Post a Comment