কবে
কোথায় পড়েছিলাম না শুনেছিলাম তা এই মূহুর্তে মনে করতে পারছি না। একটা লাইন
বারবার মাথার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে। হঠাৎ করে কেনই বা লাইনটা বারবার মনে মনে
আওড়াচ্ছি বুঝতে পারছি না।
আমার প্রায়ই এমনি হয়। জানি না, অন্যান্যদেরও এমন হয় কিনা। হঠাৎ হঠাৎ দেখা যায় ছেলে বেলার কিছু কথা বা স্মৃতি সারাদিন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়। মাঝে মাঝে এমনও হয়, যেন আমি দূরে কোথায় হারিয়ে গেছি। আশে-পাশের কোন কিছুর সাথে তখন আর কোনপ্রকার সম্পর্ক থাকে না।
কখনও হারিয়ে যাই স্কুল জীবনে পড়া তিন গয়েন্দার কোন এক গল্পের মাঝে, কখনও বা মাসুদ রানার। কখনও মনে হয় ঠাকুর মা’র ঝুলির কোন এক শাকচুন্নীর কল্পকথা, কখনও হারিয়ে যাই ছড়া আর কবিতায়.......
বছরের এই সময়টা শিউলী ফুল ফোটে। মাঝ রাতে হালকা কুয়াশার চাদর ঢেকে রাখে বাকি রাতটাকে। কখনও মনে হয়, নি:শব্দ এই রাতটা কোন শিউলী গাছের নীচে বসে কুয়াশার চাদরে নিজেকে জড়িয়ে তারাদের সাথে ভাব বিনিময় করি। মনে হয় ঐ নিশাচরদের সাথে প্রেম করি।
মনে পড়ে কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে দল বেধে যেতাম শিউলী ফুল কুড়াতে। তারপর মালা গাথা এবং সেই মালা দিয়ে পুতুল বিয়ে। বান্ধবীরা তাদের পুতুল বিয়ে দিতো ঐ কুড়ানো ফুল দিয়ে। আমারা সবাই আমাদের যার যার বাসা থেকে ১ গ্লাস চাল, ডাল নিয়ে যেতাম সেই বিয়েতে। আহ! কি যে আনন্দ, কি যে সুখকর সেই দিনগুলো..............
সেইসব সুখকর স্মৃতিগুলো এড়িয়ে আজ সকালে কম্পিউটার খুলেই দেখলাম মান্না দে’র মৃত্যু সংবাদ। কি চমৎকারই না গাইতেন তিনি। বিশেষ করে ’কফি হাউজের সেই আড্ডা ‘ গানটা অসাধারন। বাংলা ভাষাভাষির এমন কেউ নেই যে এই গানটির প্রশংসা করবে না। যতবার শুনেছি ততোবারই মনে হতো এই প্রথমবারের মতো শুনছি।
না, মান্না দে’র কোন গানের কোন পংক্তি নয়। ছোট্র একটা লাইন আজ আমাকে ভিষন পিড়া দিচ্ছে। বারবার মনের অজান্তেই মনের খাতায় আঁকিঝুকি করছে, যতো গর্জে ততো বর্ষে না.............
#খুনসুটি
আমার প্রায়ই এমনি হয়। জানি না, অন্যান্যদেরও এমন হয় কিনা। হঠাৎ হঠাৎ দেখা যায় ছেলে বেলার কিছু কথা বা স্মৃতি সারাদিন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়। মাঝে মাঝে এমনও হয়, যেন আমি দূরে কোথায় হারিয়ে গেছি। আশে-পাশের কোন কিছুর সাথে তখন আর কোনপ্রকার সম্পর্ক থাকে না।
কখনও হারিয়ে যাই স্কুল জীবনে পড়া তিন গয়েন্দার কোন এক গল্পের মাঝে, কখনও বা মাসুদ রানার। কখনও মনে হয় ঠাকুর মা’র ঝুলির কোন এক শাকচুন্নীর কল্পকথা, কখনও হারিয়ে যাই ছড়া আর কবিতায়.......
বছরের এই সময়টা শিউলী ফুল ফোটে। মাঝ রাতে হালকা কুয়াশার চাদর ঢেকে রাখে বাকি রাতটাকে। কখনও মনে হয়, নি:শব্দ এই রাতটা কোন শিউলী গাছের নীচে বসে কুয়াশার চাদরে নিজেকে জড়িয়ে তারাদের সাথে ভাব বিনিময় করি। মনে হয় ঐ নিশাচরদের সাথে প্রেম করি।
মনে পড়ে কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে দল বেধে যেতাম শিউলী ফুল কুড়াতে। তারপর মালা গাথা এবং সেই মালা দিয়ে পুতুল বিয়ে। বান্ধবীরা তাদের পুতুল বিয়ে দিতো ঐ কুড়ানো ফুল দিয়ে। আমারা সবাই আমাদের যার যার বাসা থেকে ১ গ্লাস চাল, ডাল নিয়ে যেতাম সেই বিয়েতে। আহ! কি যে আনন্দ, কি যে সুখকর সেই দিনগুলো..............
সেইসব সুখকর স্মৃতিগুলো এড়িয়ে আজ সকালে কম্পিউটার খুলেই দেখলাম মান্না দে’র মৃত্যু সংবাদ। কি চমৎকারই না গাইতেন তিনি। বিশেষ করে ’কফি হাউজের সেই আড্ডা ‘ গানটা অসাধারন। বাংলা ভাষাভাষির এমন কেউ নেই যে এই গানটির প্রশংসা করবে না। যতবার শুনেছি ততোবারই মনে হতো এই প্রথমবারের মতো শুনছি।
না, মান্না দে’র কোন গানের কোন পংক্তি নয়। ছোট্র একটা লাইন আজ আমাকে ভিষন পিড়া দিচ্ছে। বারবার মনের অজান্তেই মনের খাতায় আঁকিঝুকি করছে, যতো গর্জে ততো বর্ষে না.............
#খুনসুটি
No comments:
Post a Comment