Tuesday, October 29, 2013

প্রাণীজগত ও বস্তুজগতকে

পৃথিবীর সকল প্রাণীজগত ও বস্তুজগতকে সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষের সেবার জন্য।

বন্ধুরা, সবাই একদম সত্যি করে বলেনতো, আপনাদের এলাকায় আপনারা কি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পান, অবশ্যই পান না। কেন পান না?

আপনারা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পান না, কারন, আমাদের চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হয়। এর সাথে যুক্ত হয়েছে স্মার্ট ফোন, প্রচুর পাওয়ার কনজিউম করে থাকে। আগে সাপ্তাহে ২দিন ফোনে চার্জ দিলে সারা সপ্তাহ অনায়াশে ফোন ব্যবহার করা যেত, কিন্তু এখন প্রতিদিনই চার্জ দিতে হয়।

আরও আছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ। একথা অনায়াশে সবাই স্বিকার করবেন, আমাদের দেশে প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক বেড়েছে। এখন কম-বেশী সবাই (শহরের বাসিন্দারা) লেপটপ ব্যবহার করেন। এগুলোর জন্যও এক্সট্রা বিদ্যুৎ প্রয়োজন।

এতো বিদ্যুৎ আসে কোথা থেকে! তাইতো নিত্য নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন অতিব জরুরী। তারই ধারাবাহিকতায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে, সমস্যাটা কোথায়.........

সুন্দরবন ক্ষতি হবে, হোক তাতে কি, আরে গাছাপালা, গরু-ছাগল, হাস-মুরগী বড় না মানুষ বড়.... আগে মানুষ বাঁচবো তারপর না হয় ..............

#ভাঙ্গাচশমা

অবসম্ভাবী

অসম্ভব এর পিছনে দৌড় আরম্ভ করার সাথে সাথে জীবনের সমস্যাগুলোর সূত্রপাত হতে থাকে। আমরা যতোই অসম্ভবকে সম্ভব করার চেষ্টা করতে থাকবো ততোই জীবনের সমীকরনগুলো এলোমেলো হতে থাকবে।

সমস্যাটা অসম্ভবকে নিয়ে নয়, সমস্যাটা অসম্ভব আর সম্ভব এর মাঝের পার্থক্যটাকে অনুধাবনে। অসম্ভব সব সময়ই অসম্ভব। তাকে সম্ভব করতে চাওয়াটাই বোকামি।

তারচেয়ে অনেক সহজ ও সুন্দর অবসম্ভাবীকে আলিঙ্গন করে এগিয়ে চলা। আর তখনই জীবনের সমীকরনে প্রতিফলিত হবে সম্ভব আর অসম্ভবের মাঝে এক সেতু বন্ধন।।

#আয়না

ডাইরেক্ট লিষ্টিং

সদ্য সংবাদ:-
 
আগামী ২৪/০১/২০১৪ তারিখে ডাইরেক্ট লিষ্টিং এর মাধ্যমে দেশের পুঁজি বাজারে আরও নতুন চারটি কোম্পানী অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে, কোম্পানীগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ (বাল), বিএনপি, জাতীয় পার্টি (জেপি) এবং বাংলাদেশ জামায়েতী ইসলামী (বিজেআই)।

এই ব্যপারে এখন আমরা কথা বলবো পুঁজি বাজারের প্রবর্তক ও বিশিষ্ট গ্যাম্বলার মি: কে জে’র সাথে। জনাব কে জে, এই ব্যপারে আপনার মতামত কি?

ওয়েল, আমি আজ আপনাদের ষ্টুডিওতে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আসলে সত্যিকার অর্থে, আপনি আমার সম্পর্কে একটু বাড়িয়ে বলেছেন। পুঁজিবাজের আমি এই একটু সামান্য নাড়াচাড়া করি কিন্তু এই যে আপনি আমার সম্পর্কে যা বললেন....

দু:খিত মি: কে জে আমাদের সময় খুবই সংক্ষিপ্ত। আপনি যদি দয়া করে খুব সংক্ষিপ্তাকারে আমাদের প্রশ্নের উত্তর দিতেন....

ও, হ্যাঁ, দু:খিত, আসলেই আমার সরাসরি আপনার প্রশ্নের উত্তরেই চলে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু যখন দেখি জনগন আমার সম্পর্কে একটা ভুল ধারনা নিয়ে আছে, তখন নিজের খুবই খারাপ লাগে। আমি চাইনা কেউ আমাকে ভুল বুঝুক। সবার একটা স্বচ্ছ ধারনা থাকার প্রয়োজন আমার সম্পর্কে। একটা দেশের পুঁজি বাজার অনেক বড় একটা ব্যপার। আমার মতো কোন একজনের পক্ষে সম্ভব না এরকম একটা বাজারকে ম্যানুপুলেট করা। কিন্তু তারপরও জনগন যখন....

স্যার, কিছু মনে করবেননা, আমাদের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে, আর মাত্র......

না, না, ঠিক আছে। মনে করার কি আছে? আসলেইতো আমাদের সবারই কথা কম এবং কাজ বেশী করার প্রয়োজন। কিন্তু আমরা করি ঠিক তার উল্টো। এবং আপনি জানেন নিশ্চয়ই, এই বেশী কথার জন্যই কিন্তু আমরা একজন আর একজনের ব্যপারে একটু বেশী রং মেখে অযথাই তাকে হিরো বানাই। এই যেমন ধরুন আমার ব্যপারটাই, বেশী কথার দরুনই কিন্তু আমাকে মিডিয়া বিভিন্ন রং মেখে পুঁজি বাজারের হিরো বানিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এই চিত্র.......

স্যার...

ও, সরি, কিছু মনে করবেন না প্লিজ, তা কি যেন ছিল আপনার প্রশ্নটা....

স্যার, পুঁজি বাজারে নতুন চারটি........

ও, ইয়েস, ইয়েস, মনে পড়েছে। হ্যাঁ, যে নতুন চারটি কোম্পানী অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে... আমি মনে করি বাল বামে হল্টেড থাকবে... আর যেদিন বিএনপি আল্টিমেডাম দিবে তারপর দুইদিন ডানে হল্টেড এবং এর পর কয়েকদিন বামে হল্টেড... জেপি যেদিন বলবে, আর না, এইবার আমরা মহাজোট ছেড়ে রাস্তায় আসবো, তারপর কয়েকদিন ডানে হল্টেড.. আবার যেদিন বলবে, না, এই দু:সময়ে আমরা মহাজোট ছেড়ে যাবোনা, এরপর কয়েকদিন আবার বামে হল্টেড থাকবে..... অন্যদিকে বিজেআই নেক্সট কয়েকমাস ডানে হল্টেড থাকবে.. এই হল্টেড রেট এ দেখা যাবে হঠাৎ হঠাৎ ২/৪ লট বাই সেল হচ্ছে, কিন্তু যেদিন যুদ্ধাপরাধীর রায় আসবে সেইদিন থেকে পরবর্তী দু’এক সপ্তাহ কিন্তু পুরোপুরেই ডানেই হল্টেড থাকবে......

ধন্যবাদ, স্যার, স্টুডিওতে এসে আপনার মূল্যবান সময় থেকে আমাদের কিছু সময় দেওয়ার জন্য।

এই দিকে শোন যাচ্ছে, পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত হবার পর পরই নতুন চারটি কোম্পানী তাদের ডিভিডেন্ট ঘোষনা করবে। আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা কোম্পানীগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে জানতে পারেন, বাল ৫০০ শতাংশ রাইট শেয়ার (প্রিমিয়াম বিহীন), ৩০০ শতাংশ বোনাস এবং ৪০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ট দিবে। এই রাইটের টাকা দিয়ে বাল অবকাঠামো উন্নয়ন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করবে বলে জানা যায়।

অন্যদিকে সূত্রমতে জানা যায়, বিএনপি ৮০০ শতাংশ বোনাস এবং ৬০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ট দিবে।

সেইসাথে জেপি নো ডিভিডেন্ট ঘোষনা করতে পারে বলে আমাদের সংবাদ দাতা জানিয়েছেন।

কিন্তু বিজেআই এর কর্মকর্তাদের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও কোনপ্রকার সাড়া না পাওয়া যাওয়ায় তাদের ডিভিডেন্ট সম্পর্কে কোনপ্রকার ধারনা পাওয়া যায় নাই।

সংবাদের এই পর্যায়ে আমরা আমাদের দর্শক ও শ্রোতাদের জন্য একটু কুইজ দিচ্ছি, এই ডিভিডেন্ট ঘোষনা আসার পর সেই কোম্পানীগুলোর ট্রেড কি রকম হতে পারে?

* ডানে হল্টেড = বিক্রেতাহীন, বামে হল্টেড = ক্রেতাহীন
[বিদ্র: উপরোক্ত ঘটনার সাথে বাস্তবের কোনপ্রকার কোন মিল নেই। ]

অস্বস্তি

ইয়াহু, কারেন্ট গেছে গ্যাআআআ..........

কারেন্ট চলে গেছে, এতে এতো উত্তেজিত হবার কি আছে!

আছে দোস্ত, আছে, টানাটানির সংসারে মাসের শেষ দিকে গ্রাম থেকে মেহেমান আসলে যেমন অস্বস্তি লাগে ঠিক তেমনি যতক্ষন কারেন্ট থাকে ততোক্ষন
অস্বস্তি লাগে...... কারেন্ট না থাকলেই মনে হয় ......

#খুনসুটি

জয়

’বাজিগর’ হিন্দি একটা শব্দ কিন্তু বাস্তব জীবনে যতোবার এর প্রয়োগ করেছি ততোবারই অভাবনীয় ফলাফল পেয়েছি এবং অনুধাবন করতে পেরেছি আসলেই জিতলেই জিতা হয় না। সত্যিকারের জয়তো তখনই সম্ভব যখন আমি হারতে পারবো..............

#আয়না

সিগনাল

বাসটা এসে নতুন বাজার সিগনালে থামলো। আমি আর আমার জুনিয়র পিছনের সিটে বসে আছি। কিছুক্ষন পর স্বাভাবিক নিয়মেই আবার বাস চলা শুরু করলো। আমি জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে উদাস মনে কি যেন ভাবছিলাম। পরক্ষনেই জুনিয়র সাহেব আমার চিবুক ধরে টানাটানি...

পাপা, পাপা, লাল লাইট জ্বললেতো গাড়ি থামে।

জ্বি, পাপা।

তাহলে আমাদের বাসটা থামলো না কেন?

কই থামে নাই। থেমেছিলো তো।

না পাপা, তুমি দেখ নাই, যখন লাল লাইট জ্বললো তখন বাস থামে নাই, আমি দেখেছি.........

তাহলে পাপা, মনে হয় ড্রাইভার লাল লাইট যে জ্বলেছে তা দেখে নাই...

কিছু একটা বলে জুনিয়র সাহেবকে সাময়িক বুঝ দিলাম। এছাড়া বলার মতো অন্য কিছু সেই সময় মাথায় আসেনি। তবে বলার কিছুক্ষন পরই কে যেন ভিতর থেকে জানান দিচ্ছে আমি এই অবুঝ শিশুটাকে ভুল কিছু শিখালাম নাতো। এ কথার আড়ালে তাকে আমি আইন ভাঙ্গার আমন্ত্রন জানালাম না তো........

#ভাঙ্গাচশমা

হাঁচি

কম-বেশী আমরা সবাই হাচি দেই। হাচির একটা মহৎ গুন আছে। সেই গুনটাকে সবাই উপলব্ধি করতে পারে কিনা জানিনা। তবে যতবার আমি হাচি দেই ততোবারই সেই গুনটা আমি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উপভোগ করি। তারচেয়েও বেশী উপভোগ করি হাচি দেওয়ার সময় যদি কোন কারনে সেই হাচিটা আটকে যায় এবং এর কিছুক্ষনপর যখন জোড়ে একটা হাচি দেই। মনে হয় মাথার ভিতরের সব দূষিত পদার্থ হাচির সাথে বের হয়ে গেছে ও মাথাটা করে তুলে একদম কৃষ্টাল ক্লিয়ার। অনেকটা বিজ্ঞাপনে দেওয়া খুশকি মুক্ত চুলের মতো, দূষনমুক্ত মাথা..............

আজ কেন জানি, সেই রকম একটা জোড়ে হাচি দিতে চাচ্ছি। মাথার নিউরোনগুলোতে আবর্জনার স্তুপ জমা হয়ে গেছে........................

#খুনসুটি

বিষ

বাসে করে নিউমার্কেট যাচ্ছিলাম। আমার পাশে দাঁড়ানো একজনের মোবাইলে ফোন আসলো। যথারিতি সে ফোনটা বের করে কথা শুরু করলো। আমি আমার মতো বসে আছি। রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম। কিছু দূর এগোয় আবার বসে থাকি বেশ কিছুক্ষন। হঠাৎ তার কথাবর্তার একটা অংশ আমার কানে আসলো। সে ঐপ্রান্তে ফোনে থাকা কাউকে বলছে, ‘ভাই, আমারে পাগলা কুত্তা কামড়াইছে, আমি মহাখালি গেছিলাম ইনজেকশন নিতে...’। কথাটা শুনে ছোট বেলায় পড়া একটি কবিতার অংশ বিশেষ মনে পড়লো..

’কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে - কভূ আশীবিষে দংশেনি যারে...’

সত্যিই তো যাকে পাগলা কুকুর কামড়িয়েছে কেবলমাত্র সেই বুঝে কামড়ের যন্ত্রনা কি অথবা ইনজেকশন নেওয়ার যন্ত্রনা। ঐ লোক ফোনে যাকে বলছে সেও যে কিছু অনুভব করতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না। সে কেনো, আমিতো লোকটির একদম কাছেই বসে আছি, আমার গা ঘেষে লোকটি দাঁড়িয়ে আছে, আমিও তাতে বিন্দুমাত্র উপলব্ধি করতে পারছি না।

ভাবছিলাম, এই যে কুকুরগুলো যখন তখন মানুষদের কামড়ায়, তারা কি আদৌ বুঝে কামড়ের ব্যাথা? যদি তারা বুঝতো তাহলে কি তারা আর কাউকে কামড়াতো?

এখন তাহলে কি উপায়? যে করেই হোক তাদেরকেও বুঝতে দেওয়া উচিত এই কামড়ের যন্ত্রনা। কিন্তু কিভাবে? ছেলে বেলায় পড়া আরও একটা কবিতা মনে পড়ে গেলো...

’কুকুরের কাজ কুকুর করেছে
কামড় দিয়েছে পায়,
তা ব’লে কুকুরে কামড়ানো কি রে
মানুষের শোভা পায় ?’

হ্যাঁ, সত্যিই তো, কুকুর কামড় দিয়েছে বলেতো মানুষের শোভা পায়না পাল্টা কুকুরকে কামড়ানো। কিন্তু যতোক্ষন এই কুকুরগুলোকে কামড়ের যন্ত্রনা প্রতিউত্তরে না দেওয়া যাবে ততোক্ষন তারা একের পর এক কামড়িয়েই যাবে। একজন দু’জন করে তারা আক্রান্ত করতে থাকবে, এক সময় ..........
আর আমরা বোকার মতো সেই অসহ্য যন্ত্রনা ভোগ করে যাবো আর নিজের গাটের পয়সা খরচ করে ইনজেকশন এর সূঁচালো খোচা খেয়েই যাবো....

একসময় খুব ভুতের সিনেমা দেখতাম। ড্রাকুলা সিনেমাটা দেখে বেশ কয়েকদিন রাতের বেলায় একলা টয়লেটে যেতে ভয় পেতাম। দরকার হলে আব্বুকে সাথে নিয়ে যেতাম। সেইখানে দেখা কিছু অংশ বিশেষ মনের অজান্তেই মনের পর্দায় ভেসে উঠলো....

রাতে ড্রাকুলা বের হবার কিছুক্ষন আগে আশে পাশের কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ করে চেঁচিয়ে উঠতো। তার কিছুক্ষন পর একদল হায়না ডেকে উঠতো আর কুকুরগুলো কেউ কেউ করতে করতে ভয়ে শিথিয়ে যেতো...

কোথা হতে হঠাৎ করে বাসের হেল্পার এসে বললো, ’স্যার, টিকেট হইছে ...................... ‘

#ভাঙ্গাচশমা

মেঘ

মেঘের নাকি অনেক শক্তি! ধরনীতে আলো দানকারি সূর্য্যকে সে গ্রাস করে।
আবার মৃদু বাতাসে ছিন্নভিন্ন হয়ে ভেসে যায় দূরদূরান্তে..............

#আয়না

ব্লেন্ডিং

বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময় মহাত্মাগান্ধী আন্দোলনের এক অভিনব পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। তিনটি নীতির উভর ভিত্তি করে তিনি আন্দোলন চালিয়ে যান। নীতিত্রয় দেশে-বিদেশে খুবই সমাদৃত হয়েছে। নীতি তিনটির সাথে আমরা সবাই মোটামুটি পরিচিত। রসিকরা এই তিন নীতিকে গান্ধীর তিন বানর বলে আখ্যায়িত করেন।

১. বুরা মাত শুন (খারাপ কিছু শুনবে না)
২. বুরা মাত দেখ (খারাপ কিছু দেখবে না)
৩. বুরা মাত বোলো (খারাপ কিছু বলবে না)

অন্যদিকে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ’অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে ,তব ঘৃণা যেন তারে তৃণ সম দহে।’

আমরা কিন্তু আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনে গান্ধী এবং রবীন্দ্রনাথের এক অপূর্ব সংমিশ্রন অনুসরন করে থাকি। যখন আমাদের চারপাশে কোন অন্যায়, অবিচার, জুলুম, অত্যাচার হয় আমারা সরাসরি গান্ধীর অনুসারী এবং যখন সেই অন্যায়, অবিচার, জুলুম, অত্যাচার আমাদের নিজেদের উপর হয় তখন আমরা একজন আদর্শ রবীন্দ্র প্রেমী হয়ে যাই। নিজের যোগ্যতা এবং ক্ষমতার উর্ধে উঠে প্রতিহত করার চেষ্টা করি।

ব্লেন্ডিং এ সত্যিই আমরা অনন্য ।।

#ভাঙ্গাচশমা

স্মৃতিবেদনা

কবে কোথায় পড়েছিলাম না শুনেছিলাম তা এই মূহুর্তে মনে করতে পারছি না। একটা লাইন বারবার মাথার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে। হঠাৎ করে কেনই বা লাইনটা বারবার মনে মনে আওড়াচ্ছি বুঝতে পারছি না।

আমার প্রায়ই এমনি হয়। জানি না, অন্যান্যদেরও এমন হয় কিনা। হঠাৎ হঠাৎ দেখা যায় ছেলে বেলার কিছু কথা বা স্মৃতি সারাদিন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়। মাঝে মাঝে এমনও হয়, যেন আমি দূরে কোথায় হারিয়ে গেছি। আশে-পাশের কোন কিছুর সাথে তখন আর কোনপ্রকার সম্পর্ক থাকে না।

কখনও হারিয়ে যাই স্কুল জীবনে পড়া তিন গয়েন্দার কোন এক গল্পের মাঝে, কখনও বা মাসুদ রানার। কখনও মনে হয় ঠাকুর মা’র ঝুলির কোন এক শাকচুন্নীর কল্পকথা, কখনও হারিয়ে যাই ছড়া আর কবিতায়.......

বছরের এই সময়টা শিউলী ফুল ফোটে। মাঝ রাতে হালকা কুয়াশার চাদর ঢেকে রাখে বাকি রাতটাকে। কখনও মনে হয়, নি:শব্দ এই রাতটা কোন শিউলী গাছের নীচে বসে কুয়াশার চাদরে নিজেকে জড়িয়ে তারাদের সাথে ভাব বিনিময় করি। মনে হয় ঐ নিশাচরদের সাথে প্রেম করি।

মনে পড়ে কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে দল বেধে যেতাম শিউলী ফুল কুড়াতে। তারপর মালা গাথা এবং সেই মালা দিয়ে পুতুল বিয়ে। বান্ধবীরা তাদের পুতুল বিয়ে দিতো ঐ কুড়ানো ফুল দিয়ে। আমারা সবাই আমাদের যার যার বাসা থেকে ১ গ্লাস চাল, ডাল নিয়ে যেতাম সেই বিয়েতে। আহ! কি যে আনন্দ, কি যে সুখকর সেই দিনগুলো..............

সেইসব সুখকর স্মৃতিগুলো এড়িয়ে আজ সকালে কম্পিউটার খুলেই দেখলাম মান্না দে’র মৃত্যু সংবাদ। কি চমৎকারই না গাইতেন তিনি। বিশেষ করে ’কফি হাউজের সেই আড্ডা ‘ গানটা অসাধারন। বাংলা ভাষাভাষির এমন কেউ নেই যে এই গানটির প্রশংসা করবে না। যতবার শুনেছি ততোবারই মনে হতো এই প্রথমবারের মতো শুনছি।

না, মান্না দে’র কোন গানের কোন পংক্তি নয়। ছোট্র একটা লাইন আজ আমাকে ভিষন পিড়া দিচ্ছে। বারবার মনের অজান্তেই মনের খাতায় আঁকিঝুকি করছে, যতো গর্জে ততো বর্ষে না.............

#খুনসুটি

Aim In Life

সেই ছোটবেলা হতে আজ পর্যন্ত কত্তো কত্তো Aim In Life পড়লাম আর শুনলাম। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য আজ পর্যন্ত কারও কোন Aim In Life পাইলামনা যে কিনা নেতা হতে চায়...........

বুঝলাম না, এতো প্রফিটেবল বিজনেস কোন উপেক্ষিত ...........

#খুনসুটি

কর্মসূচি

হে ধিনকা চিকা ধিনকা চিকা ধিনকা চিকা চিকা ... হে ....

কি হইছে? এতো নাচবার লাগছো কেলা?

মাম্মা, আহো, তুমিও নাচো...

নাচুম সমস্যা নাই, মাগার নাচবার লাগছোস কেলা....

মাম্মা, জনগন হরতাল প্রত্যাখ্যান করছে...

মানে?

মানে, আর কিছুই না, জনগন হরতাল সফল করছে....

কি আবোল তাবোল কইতাছস? একবার কছ প্রত্যাখ্যান করছে আবার কস সফল করছে। মাথা ঠিক আছে তো, না কি গেছস নাসিম-ফকরুল হইয়া......

না, মাম্মা, আমি ঠিকই আছি। সমস্যা হইছে তাগো, দেখোনা, একজন কয় জনগন প্রত্যাহার করছে আর আরেকজন কয় সফল করছে.... আমি হালায়ওতো জনগন, আমি হালায় পেটের খিদায় একবার রাস্তায় গেছি আবার জানের ভয়ে ঘরে আইসা বইয়া রইছি....... তয় তারা কোন জনগনের কথা কয়........

#ভাঙ্গাচশমা

আন্দোলন ও আমরা

সুধি দর্শকবৃন্দ এখন আমরা সরাসরি কথা বলবো আমাদের সংবাদ প্রতিনিধির সাথে...

হ্যালো, এটা কি 2441139... দিননা ডেকে মুন্নীকে একবার....

জ্বি, হালিম, শুনতে পাচ্ছি...

ও আচ্ছা, যা বলছিলাম, এখনকার হরতাল পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের একটু ধারনা দেন...

হ্যাঁ হালিম, আপনি নিশ্চয় দেখতে পাচ্ছেন, শত শত মানুষ দল বেধে এগিয়ে আসছে। তারা নিজেদের মধ্যে নিচু স্বরে কথা বলছে। কিন্তু কেউ কোন বিশেষ দলের শ্লোগান দিচ্ছে না। মোটামুটি সবাই হাসি-তামাশা করছে। সেই সাথে হালিম, আপনি দেখতে পাচ্ছেন, দলের মধ্যে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ সবাই আছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ একটু গম্ভীর প্রকৃতির, রাশভারী।

মুন্নী, এক মিনিট একটু লাইনে থাকুন, আমরা অন্য আর একটি লাইনে সরকারী দলের একজন নেতার সাথে কথা বলি....

জনাব, আমাদের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে শত শত মানুষ রাজপথে, এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি?

লোকজন মাত্র আসা আরম্ভ করেছে। এখন মাত্র শত শত, আর দু’এক দিন পর দেখবেন লাখ লাখ। বিরোধীদলের ধ্বংসাত্মক কাজে জনগন বিরক্ত হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে। আজ তারা বিরোধীদলের হরতাল প্রত্যাখ্যান করছে....

ধন্যবাদ। এখন আমরা কথা বলবো বিরোধীদলের একজন নেতার সাথে...

জনাব, আমাদের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে শত শত মানুষ রাজপথে, এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি?

জনগনের স্বতস্ফূর্ততাই বলে দিচ্ছে জনগন আর এই সরকারকে চায় না। তারা এখন একটা বিপ্লব ঘটানোর জন্য প্রস্তুত। আজ তারা বয়স ভুলে সবাই রাজপথে নেমে এসেছে। আজ তাদের চোখে-মুখের অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছে তার সরকারের পতন ঘটিয়েই রাজপথ ত্যাগ করবে। জনগনের এই জোয়ারই সরকারের পতন ঘটিয়ে দিবে। আমি সরকারকে বলতে চাই, এই জোয়ার আপনি প্রতিহত করবেন কিভাবে? এখনও সময় আছে আপনারা আমাদের দাবি মেনে নিন। আর নাহলে........

ধন্যবাদ। আমরা এখন আবার মুন্নীর কাছে ফিরে যাচ্ছি।

মুন্নী, শুনতে পাচ্ছেন..

হ্যাঁ, হালিম, আপনি শুনতে পাচ্ছেন..

মুন্নী, দলের কারও সাথে কি যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিল? তারা আসলে কোন দলের সমর্থনে রাজপথে বেরিয়ে এসেছে? তারা কি বলে শ্লোগান দিচ্ছে?

হালিম, আমি কয়েকবার তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু যতবারই আমি তাদের কাছে যাচ্ছি ততোবারই তাদের মধ্যেকার অপেক্ষাকৃত কম বয়সী ছেলে-মেয়েরা আমাকে দেখে গেয়ে উঠছে, ‘মুন্নী বদনাম হুয়ী ডার্লি তেরী লিয়ে...’

তারপরও হালিম, আমি আবার চেষ্টা করছি....

হ্যালো ভাই,

আফা আমারে, জিগাইতাছেন!

জ্বি ভাই, বলেনতো আপনারা দল নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন?

জানিনা আফা, বেবাকতেরে দেখলাম হাটতাছে, আমিও হেগো লগে হাটতাছি....

তারা কি আপনাকে কোন টাকা-পয়সা দিয়েছে তাদের সাথে মিছিল করার জন্য...

না আফা, টেকা-পয়সা দিবো ক্যান, আমারেতো হেরা কেউ কিছু কয় নাই, আমি হুদাই হেগো লগে হাটতাছি...

ঠিক আছে, ধন্যবাদ। (অন্য আর একজনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি)

Excuse me,

জ্বি বলুন।

আপনারা কোন দলের সমর্থনে মিছিল করছেন বা জড়ো হচ্ছেন..

দলের সমর্থনে মানে!

না, এই যে, দল বেধে যাচ্ছেন, অথচ কেউ কোন শ্লোগান দিচ্ছেন না....

ও আচ্ছা, না মেডাম, তেমন ‍কিছু না। আমরা সবাই যে যার যার অফিসে যাচ্ছি। রাস্তায় যানবাহন খুবই কম তারউপর ঈদ পরবর্তী মাসের শেষ। আমাদের অনেকেরই বেতনের টাকা ফুরিয়ে গেছে। সিএনজি বা অন্য কোন প্রাইভেট বাহন এ ভ্রমন করা সম্ভব নয় বলে হেটে যাচ্ছি।

তাই বলে সবাই দল বেধে এক সাথে! অন্য কেউতো ভাবতে পারে আপনারা মিছিল বা মিটিং এ যোগদানের জন্য যাচ্ছেন...

তা ভাবতে পারে, কিন্তু আমরা আমাদের নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য দল বেধে যাচ্ছি। যাতে কেউ আমাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালাতে না পারে এবং সেই সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষী বাহিনী যাতে ভুলে আমাদের কোন একজনকে পিকেটার ভেবে ভুল করতে না পারে.......

হ্যালো, হ্যালো, হ্যালো... দর্শকবৃন্দ আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় আমরা দু:খিত। আমারা যোগাযোগের চেষ্টা করছি এবং এই মূহুর্তে নিচ্ছি বিজ্ঞাপনের জন্য ছোট্র একটা ব্রেক। আমাদের সাথেই থাকুন।

#ভাঙ্গাচশমা

Divide and Rule

Divide and Rule, বাক্যটার সাথে কম-বেশী আমরা সবাই পরিচিত। বাক্যটি যদিও শাসন ও শোষনের জন্য ব্যবহৃত হয় তথাপি এর নানামুখী ব্যবহারিক দিক রয়েছে। এটা মূলত ব্যবস্থাপনার (Management) একটি যুগান্তকারী উক্তি।

যে কোন বড় একটা কিছুর ব্যবস্থাপনা খুবই কষ্টসাধ্য। কিন্তু যদি একে ছোট ছোট খন্ডে বিভক্ত করা হয় তবে খুব সহজেই তাকে ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ফলাফল আদায় করা সম্ভব। এই জন্য যুগে যুগে আধুনিক ব্যবস্থাপনায় এই বাক্যটিকে আমরা আমাদের অজান্তেই ব্যবহার করে থাকি।

উদাহরন স্বরূপ যদি আমারা আমাদের যে কোন প্রজেক্টকে ধরি, তাহলে Divide and Rule এর ব্যবহার স্পষ্টভাবেই আমাদের দৃষ্টিগোচর হবে। যে কোন প্রজেক্টকে আমরা প্রথমেই বিভিন্ন খন্ডে (Module) বিভিক্ত করি এবং Critical Path দ্বারা মডিউলগুলোর মধ্যে একটা সম্পর্ক স্থাপন করি। পরে সমস্ত মডিউলগুলো একসাথে করে একটা পূর্নাঙ্গ প্রোজেক্ট দাঁড় করাই।

আমরা আমাদের কর্মস্থলগুলোতে দৃষ্টিপাত করলেও একই চিত্র দেখতে পাবো। সম্পূর্ন স্টাফদেরকে কাজের ভিন্নতার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে বিভক্ত করা হয় এবং মানব সম্পদ বিভাগ এই ডিপার্টমেন্টগুলোর মাঝে একটা সমন্নয় সৃষ্টি করে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে স্টাফদের সৃজনশীলতার ও কর্মক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার সম্ভব।

ঠিক তেমনিভাবে রাজনীতিতেও একই পদ্ধতি অনুসরন করা হচ্ছে। বিজ্ঞ রাজনীতিবীদরা সমগ্র জাতিকে বিভিন্ন দলে বা গোষ্ঠীতে বিভক্ত করে অনায়াসে শাসন বা শোষন করে থাকেন। আসুন দেখা যাক সেই বিজ্ঞ রাজনীতিবীদরা আমাদেরকে কতগুলো খন্ডে বিভক্ত করেছেন....

১. সরকারী দল ২. সরকারী ক্যাডার বাহিনী ৩. বিরোধীদল ৪. আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী (পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি), ৫. আর্মি ৬. জঙ্গী ৭. মৌলবাদী ৮. আস্তিক ৯. নাস্তিক ১০. শাহাবাগী ১১. হেফাজতি ইত্যাদি ইত্যাদি।

অথচ, আমরা সবাই স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা সবাই একই জাতীয়তায় বিশ্বাসী। সবাই একই ভূখন্ডের অধিবাসী। তারপরও কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সমগ্র জাতিকে বিভক্ত করে পারষ্পরিক দাঙ্গা হাঙ্গামায় উসকে দিয়ে তাদের মসনদ আরোহনের আকাংক্ষা চরিতার্থ করে থাকেন...............

#ভাঙ্গাচশমা