Tuesday, October 29, 2013

প্রাণীজগত ও বস্তুজগতকে

পৃথিবীর সকল প্রাণীজগত ও বস্তুজগতকে সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষের সেবার জন্য।

বন্ধুরা, সবাই একদম সত্যি করে বলেনতো, আপনাদের এলাকায় আপনারা কি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পান, অবশ্যই পান না। কেন পান না?

আপনারা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পান না, কারন, আমাদের চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হয়। এর সাথে যুক্ত হয়েছে স্মার্ট ফোন, প্রচুর পাওয়ার কনজিউম করে থাকে। আগে সাপ্তাহে ২দিন ফোনে চার্জ দিলে সারা সপ্তাহ অনায়াশে ফোন ব্যবহার করা যেত, কিন্তু এখন প্রতিদিনই চার্জ দিতে হয়।

আরও আছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ। একথা অনায়াশে সবাই স্বিকার করবেন, আমাদের দেশে প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক বেড়েছে। এখন কম-বেশী সবাই (শহরের বাসিন্দারা) লেপটপ ব্যবহার করেন। এগুলোর জন্যও এক্সট্রা বিদ্যুৎ প্রয়োজন।

এতো বিদ্যুৎ আসে কোথা থেকে! তাইতো নিত্য নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন অতিব জরুরী। তারই ধারাবাহিকতায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে, সমস্যাটা কোথায়.........

সুন্দরবন ক্ষতি হবে, হোক তাতে কি, আরে গাছাপালা, গরু-ছাগল, হাস-মুরগী বড় না মানুষ বড়.... আগে মানুষ বাঁচবো তারপর না হয় ..............

#ভাঙ্গাচশমা

অবসম্ভাবী

অসম্ভব এর পিছনে দৌড় আরম্ভ করার সাথে সাথে জীবনের সমস্যাগুলোর সূত্রপাত হতে থাকে। আমরা যতোই অসম্ভবকে সম্ভব করার চেষ্টা করতে থাকবো ততোই জীবনের সমীকরনগুলো এলোমেলো হতে থাকবে।

সমস্যাটা অসম্ভবকে নিয়ে নয়, সমস্যাটা অসম্ভব আর সম্ভব এর মাঝের পার্থক্যটাকে অনুধাবনে। অসম্ভব সব সময়ই অসম্ভব। তাকে সম্ভব করতে চাওয়াটাই বোকামি।

তারচেয়ে অনেক সহজ ও সুন্দর অবসম্ভাবীকে আলিঙ্গন করে এগিয়ে চলা। আর তখনই জীবনের সমীকরনে প্রতিফলিত হবে সম্ভব আর অসম্ভবের মাঝে এক সেতু বন্ধন।।

#আয়না

ডাইরেক্ট লিষ্টিং

সদ্য সংবাদ:-
 
আগামী ২৪/০১/২০১৪ তারিখে ডাইরেক্ট লিষ্টিং এর মাধ্যমে দেশের পুঁজি বাজারে আরও নতুন চারটি কোম্পানী অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে, কোম্পানীগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ (বাল), বিএনপি, জাতীয় পার্টি (জেপি) এবং বাংলাদেশ জামায়েতী ইসলামী (বিজেআই)।

এই ব্যপারে এখন আমরা কথা বলবো পুঁজি বাজারের প্রবর্তক ও বিশিষ্ট গ্যাম্বলার মি: কে জে’র সাথে। জনাব কে জে, এই ব্যপারে আপনার মতামত কি?

ওয়েল, আমি আজ আপনাদের ষ্টুডিওতে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আসলে সত্যিকার অর্থে, আপনি আমার সম্পর্কে একটু বাড়িয়ে বলেছেন। পুঁজিবাজের আমি এই একটু সামান্য নাড়াচাড়া করি কিন্তু এই যে আপনি আমার সম্পর্কে যা বললেন....

দু:খিত মি: কে জে আমাদের সময় খুবই সংক্ষিপ্ত। আপনি যদি দয়া করে খুব সংক্ষিপ্তাকারে আমাদের প্রশ্নের উত্তর দিতেন....

ও, হ্যাঁ, দু:খিত, আসলেই আমার সরাসরি আপনার প্রশ্নের উত্তরেই চলে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু যখন দেখি জনগন আমার সম্পর্কে একটা ভুল ধারনা নিয়ে আছে, তখন নিজের খুবই খারাপ লাগে। আমি চাইনা কেউ আমাকে ভুল বুঝুক। সবার একটা স্বচ্ছ ধারনা থাকার প্রয়োজন আমার সম্পর্কে। একটা দেশের পুঁজি বাজার অনেক বড় একটা ব্যপার। আমার মতো কোন একজনের পক্ষে সম্ভব না এরকম একটা বাজারকে ম্যানুপুলেট করা। কিন্তু তারপরও জনগন যখন....

স্যার, কিছু মনে করবেননা, আমাদের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে, আর মাত্র......

না, না, ঠিক আছে। মনে করার কি আছে? আসলেইতো আমাদের সবারই কথা কম এবং কাজ বেশী করার প্রয়োজন। কিন্তু আমরা করি ঠিক তার উল্টো। এবং আপনি জানেন নিশ্চয়ই, এই বেশী কথার জন্যই কিন্তু আমরা একজন আর একজনের ব্যপারে একটু বেশী রং মেখে অযথাই তাকে হিরো বানাই। এই যেমন ধরুন আমার ব্যপারটাই, বেশী কথার দরুনই কিন্তু আমাকে মিডিয়া বিভিন্ন রং মেখে পুঁজি বাজারের হিরো বানিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এই চিত্র.......

স্যার...

ও, সরি, কিছু মনে করবেন না প্লিজ, তা কি যেন ছিল আপনার প্রশ্নটা....

স্যার, পুঁজি বাজারে নতুন চারটি........

ও, ইয়েস, ইয়েস, মনে পড়েছে। হ্যাঁ, যে নতুন চারটি কোম্পানী অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে... আমি মনে করি বাল বামে হল্টেড থাকবে... আর যেদিন বিএনপি আল্টিমেডাম দিবে তারপর দুইদিন ডানে হল্টেড এবং এর পর কয়েকদিন বামে হল্টেড... জেপি যেদিন বলবে, আর না, এইবার আমরা মহাজোট ছেড়ে রাস্তায় আসবো, তারপর কয়েকদিন ডানে হল্টেড.. আবার যেদিন বলবে, না, এই দু:সময়ে আমরা মহাজোট ছেড়ে যাবোনা, এরপর কয়েকদিন আবার বামে হল্টেড থাকবে..... অন্যদিকে বিজেআই নেক্সট কয়েকমাস ডানে হল্টেড থাকবে.. এই হল্টেড রেট এ দেখা যাবে হঠাৎ হঠাৎ ২/৪ লট বাই সেল হচ্ছে, কিন্তু যেদিন যুদ্ধাপরাধীর রায় আসবে সেইদিন থেকে পরবর্তী দু’এক সপ্তাহ কিন্তু পুরোপুরেই ডানেই হল্টেড থাকবে......

ধন্যবাদ, স্যার, স্টুডিওতে এসে আপনার মূল্যবান সময় থেকে আমাদের কিছু সময় দেওয়ার জন্য।

এই দিকে শোন যাচ্ছে, পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত হবার পর পরই নতুন চারটি কোম্পানী তাদের ডিভিডেন্ট ঘোষনা করবে। আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা কোম্পানীগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে জানতে পারেন, বাল ৫০০ শতাংশ রাইট শেয়ার (প্রিমিয়াম বিহীন), ৩০০ শতাংশ বোনাস এবং ৪০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ট দিবে। এই রাইটের টাকা দিয়ে বাল অবকাঠামো উন্নয়ন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করবে বলে জানা যায়।

অন্যদিকে সূত্রমতে জানা যায়, বিএনপি ৮০০ শতাংশ বোনাস এবং ৬০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ট দিবে।

সেইসাথে জেপি নো ডিভিডেন্ট ঘোষনা করতে পারে বলে আমাদের সংবাদ দাতা জানিয়েছেন।

কিন্তু বিজেআই এর কর্মকর্তাদের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও কোনপ্রকার সাড়া না পাওয়া যাওয়ায় তাদের ডিভিডেন্ট সম্পর্কে কোনপ্রকার ধারনা পাওয়া যায় নাই।

সংবাদের এই পর্যায়ে আমরা আমাদের দর্শক ও শ্রোতাদের জন্য একটু কুইজ দিচ্ছি, এই ডিভিডেন্ট ঘোষনা আসার পর সেই কোম্পানীগুলোর ট্রেড কি রকম হতে পারে?

* ডানে হল্টেড = বিক্রেতাহীন, বামে হল্টেড = ক্রেতাহীন
[বিদ্র: উপরোক্ত ঘটনার সাথে বাস্তবের কোনপ্রকার কোন মিল নেই। ]

অস্বস্তি

ইয়াহু, কারেন্ট গেছে গ্যাআআআ..........

কারেন্ট চলে গেছে, এতে এতো উত্তেজিত হবার কি আছে!

আছে দোস্ত, আছে, টানাটানির সংসারে মাসের শেষ দিকে গ্রাম থেকে মেহেমান আসলে যেমন অস্বস্তি লাগে ঠিক তেমনি যতক্ষন কারেন্ট থাকে ততোক্ষন
অস্বস্তি লাগে...... কারেন্ট না থাকলেই মনে হয় ......

#খুনসুটি

জয়

’বাজিগর’ হিন্দি একটা শব্দ কিন্তু বাস্তব জীবনে যতোবার এর প্রয়োগ করেছি ততোবারই অভাবনীয় ফলাফল পেয়েছি এবং অনুধাবন করতে পেরেছি আসলেই জিতলেই জিতা হয় না। সত্যিকারের জয়তো তখনই সম্ভব যখন আমি হারতে পারবো..............

#আয়না

সিগনাল

বাসটা এসে নতুন বাজার সিগনালে থামলো। আমি আর আমার জুনিয়র পিছনের সিটে বসে আছি। কিছুক্ষন পর স্বাভাবিক নিয়মেই আবার বাস চলা শুরু করলো। আমি জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে উদাস মনে কি যেন ভাবছিলাম। পরক্ষনেই জুনিয়র সাহেব আমার চিবুক ধরে টানাটানি...

পাপা, পাপা, লাল লাইট জ্বললেতো গাড়ি থামে।

জ্বি, পাপা।

তাহলে আমাদের বাসটা থামলো না কেন?

কই থামে নাই। থেমেছিলো তো।

না পাপা, তুমি দেখ নাই, যখন লাল লাইট জ্বললো তখন বাস থামে নাই, আমি দেখেছি.........

তাহলে পাপা, মনে হয় ড্রাইভার লাল লাইট যে জ্বলেছে তা দেখে নাই...

কিছু একটা বলে জুনিয়র সাহেবকে সাময়িক বুঝ দিলাম। এছাড়া বলার মতো অন্য কিছু সেই সময় মাথায় আসেনি। তবে বলার কিছুক্ষন পরই কে যেন ভিতর থেকে জানান দিচ্ছে আমি এই অবুঝ শিশুটাকে ভুল কিছু শিখালাম নাতো। এ কথার আড়ালে তাকে আমি আইন ভাঙ্গার আমন্ত্রন জানালাম না তো........

#ভাঙ্গাচশমা

হাঁচি

কম-বেশী আমরা সবাই হাচি দেই। হাচির একটা মহৎ গুন আছে। সেই গুনটাকে সবাই উপলব্ধি করতে পারে কিনা জানিনা। তবে যতবার আমি হাচি দেই ততোবারই সেই গুনটা আমি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উপভোগ করি। তারচেয়েও বেশী উপভোগ করি হাচি দেওয়ার সময় যদি কোন কারনে সেই হাচিটা আটকে যায় এবং এর কিছুক্ষনপর যখন জোড়ে একটা হাচি দেই। মনে হয় মাথার ভিতরের সব দূষিত পদার্থ হাচির সাথে বের হয়ে গেছে ও মাথাটা করে তুলে একদম কৃষ্টাল ক্লিয়ার। অনেকটা বিজ্ঞাপনে দেওয়া খুশকি মুক্ত চুলের মতো, দূষনমুক্ত মাথা..............

আজ কেন জানি, সেই রকম একটা জোড়ে হাচি দিতে চাচ্ছি। মাথার নিউরোনগুলোতে আবর্জনার স্তুপ জমা হয়ে গেছে........................

#খুনসুটি