আজকাল
একটা কথা খুব বেশী শোনা যাচ্ছে। দেশটা নাকি পাকিস্তান-আফগানিস্তান হতে
যাচ্ছে। জিজ্ঞাস করলাম কিভাবে? উত্তর দিল, ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা হলে নাকি
দেশটা পাকিস্তান-আফগানিস্তান হয়ে যাবে!
তখন নাকি আমরা আন্তর্জাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবো ইত্যাদি ইত্যাদি............. আমাদের দেশে নাকি সেকুলার মুসলমান দরকার।।
খুবই ভাল কথা, সেকুলার মুসলমান দরকার। কিন্তু বন্ধুরা, সেকুলার মুসলমান আবার কি জিনিষ? এদের অস্তিত্ব কুরআন বা সুন্নাহর কোথায় লিখা আছে? কি তাদের বৈশিষ্ট?
আমাদের দেশে নাকি নারীরা তাদের অধিকার হারাবে। চমৎকার, নারীরা যদি তাদের অধিকার হারায় তাহলে আমার সংসার চলবে কিভাবে? আমার সন্তানকে প্রাথমিক শিক্ষা কে দান করবে?
বন্ধু একটু থাম, বলতো কে বা কারা জীবন্ত মেয়ে শিশুদের গর্তে পুতে রাখতো? বলতো, বিধবাদের বিয়ের অধিকার কে দিয়েছেন? বলতো, আমাদের নবীর কাছে সর্বপ্রথম যিনি ইসলাম গ্রহন করেছেন কে তিনি? তিনি কি করতেন?
না, এই যে, গার্মেন্টসের মেয়েরা যদি কাজে যেতে না পারে, মেয়েরা যদি রাস্তায় ইট ভাঙ্গতে না পারে তখন কে তাদের খাওয়াবে?
খুবই মূল্যবান প্রশ্ন। কিন্তু বন্ধু, কোরআন-সুন্নাহর কোথায় লিখা আছে তারা কাজ করতে পারবেনা। তুমি কি জান, আমার নবী (সা:) এর স্ত্রী নিজেও যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন? আমার নবীর আর একজন স্ত্রী ব্যবসায়ী ছিলেন, তা কি তুমি জান?
তারপরও নারী-পুরুষ যদি অবাধে মেলামেশা করতে না পারে তাহলে তাদের শিক্ষাতো পূর্নতা পায়না।
নারী-পুরুষের অবাধ মিলা মিশা করতে তো কোন বাধা আছে বলে আমি শুনি নাই। শুধু বলা হয়েছে মেয়েরা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, যেন তাদের দেহের গঠন বাহিরের থেকে স্পষ্টভাবে না বুঝা যায়। এইতো, এর বেশী কিছু আমার জানা নেই।
দেখ বন্ধু, জানিনা তোমরা অবাধ মেলামেশা বলতে কি বুঝাচ্ছ। তবে আমি যতটুকু বুঝি এই অবাধ মেলামেশাই কিন্তু প্রভা, পরিমলকে জন্ম দিয়েছে। এই নারী স্বাধীনতাই ভারতে চলন্ত বাসের ঘটনার জন্ম দিয়েছে। এই রকম আরও বহু ঘটনা ঘটছে তার কতটুকুইবা প্রকাশিত হয় বলো.......
তোমরা বলছো দেশটা পাকিস্তান-আফগান হবে, কিন্তু কেন বন্ধু। তোমরা কি সৌদি আরব বা ইরানকে দেখছো না। তারাতো ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা করেছে।
তোমরা বন্ধু এতো কিছু দেখ, কিন্তু দেখনা মহানবী (সা:) যেদিন বায়তুল মাল উদ্ভোদন করলেন সেই দিন কি ভাষন দিয়েছিলেন। কৈ তোমার কোন রাষ্ট্রের কোন সরকার কি আজ অবধি সেইরকম একটি সাহসী বক্তব্য রাখতে পেরেছেন?
তোমরা কি জানার চেষ্টা কর, হযরত ওমর (রা:) এর শাসনামল এর ঘটনাগুলি। তাঁর শাসনামলেতো তিনি কাউকে যাকাত দেবার মতো কোন ব্যক্তিকে খুঁজে পাননি। এখন তোমরাই বলতো, কোন দেশের কোন সরকার কি তা করতে পেরেছেন? বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোতে তোমরা দেখতে পাবে দারিদ্র সীমার নীচে অনেক লোক বসবাস করছে। কিন্তু হযরত ওমর (রা:) এর শাসনামলে তা পাওয়া যায়নি।
তোমরা যে বলো মহানবী (সা:) ধর্ম নিরপেক্ষ ছিলেন, তোমরা কি শুন নাই বা পড় নাই তিনি কতগুলো যুদ্ধে স্বশরীরে অংশগ্রহন করেছেন, কি ছিল সেই যুদ্ধের কারন, কি ছিল সেই যুদ্ধের কৌশল।
আবার যখন বলো মুসলমানরা জঙ্গি, তোমরা কি শুন নাই বা জান নাই বা জানার চেষ্টা কর নাই, আমার নবী (সা:) কে যখন তায়েফের কাফেররা রক্তাক্ত করে তায়েফ থেকে তাড়িয়ে দিলো তখন আমার নবী (সা:) মহান আল্লাহর দরবারে কি বলে দোয়া করেছিলেন?
বন্ধু, ইসলামে সেকুলার বা গোঁড়া বা চরম বাদী বলে কোন শব্দ নাই। ইসলাম সব সময়ই আমাদেরকে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করতে শিখায়। তবে হ্যাঁ, আমাদের জিহাদের জন্যও আদেশ করে এবং সেই সাথে স্পষ্টভাবে বলে দেয়া আছে শত্রুর আছে কি রকম ব্যবহার করতে হবে।
বন্ধু, ইসলামে কুরআনকে বলা হয় পরিপূর্ন জীবন ব্যবস্থা। আমরা কয়জন আমাদের সমস্যাগুলোর সমাধান কুরআন এ খুঁজেছি? কয়জন আমরা কুরআন এর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছি যে আজ আমরা কুরআন এর আইন শুনলে আঁতকে উঠি?
ইসলামের প্রথম কথা, পড় তুমি তোমার প্রভুর নামে। ইসলামই জ্ঞান অর্জনকে ফরজ করেছে। এখন বলতো কয়জন আমরা জানার চেষ্টা করেছি? কয়জন আমরা পড়ি? না, বন্ধু, নিজের নাম লিখতে জানলেই ইসলামে শিক্ষিত হওয়া যায়না। ইসলাম তোমাকে গবেষনার জন্য তাগিদ দেয়। চিন্তা করার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।
আজ আমরা জানি না বা জানার চেষ্টা করিনা। সেটা আমাদের দোষ, ইসলামের নয়। আমাদের এই দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিছু ভন্ড সমগ্র ইসলামকে দূষিত করছে। তারা তাদের মনগড়া মতবাদ দিয়ে আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করছে।
সবাই সব জ্ঞান অর্জন করতে পারে না এটা সত্যি। তাই কোন কিছুর সমাধানের জন্য অবশ্যই আমাকে তার কাছে যেতে হবে যিনি আমাদের মধ্যে ভাল জানেন এবং তিনি যে জানেন ও সুষ্ঠ সমাধান দেন তার পরীক্ষা আমাদেরকেই করে নিতে হবে। এবং এর জন্য ইসলামের প্রাথমিক শিক্ষা আমাদেরকে নিজ গরজেই শিখে নিতে হবে।
আমাদের ভুলের মাসুল আমাদেরকেই দিতে হবে। এর জন্য আমরা কোনভাবেই ইসলামকে দায়ী করতে পারবো না বা পারিনা। অবশ্যই ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলেই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে, ইনশাল্লাহ।
তখন নাকি আমরা আন্তর্জাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবো ইত্যাদি ইত্যাদি............. আমাদের দেশে নাকি সেকুলার মুসলমান দরকার।।
খুবই ভাল কথা, সেকুলার মুসলমান দরকার। কিন্তু বন্ধুরা, সেকুলার মুসলমান আবার কি জিনিষ? এদের অস্তিত্ব কুরআন বা সুন্নাহর কোথায় লিখা আছে? কি তাদের বৈশিষ্ট?
আমাদের দেশে নাকি নারীরা তাদের অধিকার হারাবে। চমৎকার, নারীরা যদি তাদের অধিকার হারায় তাহলে আমার সংসার চলবে কিভাবে? আমার সন্তানকে প্রাথমিক শিক্ষা কে দান করবে?
বন্ধু একটু থাম, বলতো কে বা কারা জীবন্ত মেয়ে শিশুদের গর্তে পুতে রাখতো? বলতো, বিধবাদের বিয়ের অধিকার কে দিয়েছেন? বলতো, আমাদের নবীর কাছে সর্বপ্রথম যিনি ইসলাম গ্রহন করেছেন কে তিনি? তিনি কি করতেন?
না, এই যে, গার্মেন্টসের মেয়েরা যদি কাজে যেতে না পারে, মেয়েরা যদি রাস্তায় ইট ভাঙ্গতে না পারে তখন কে তাদের খাওয়াবে?
খুবই মূল্যবান প্রশ্ন। কিন্তু বন্ধু, কোরআন-সুন্নাহর কোথায় লিখা আছে তারা কাজ করতে পারবেনা। তুমি কি জান, আমার নবী (সা:) এর স্ত্রী নিজেও যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন? আমার নবীর আর একজন স্ত্রী ব্যবসায়ী ছিলেন, তা কি তুমি জান?
তারপরও নারী-পুরুষ যদি অবাধে মেলামেশা করতে না পারে তাহলে তাদের শিক্ষাতো পূর্নতা পায়না।
নারী-পুরুষের অবাধ মিলা মিশা করতে তো কোন বাধা আছে বলে আমি শুনি নাই। শুধু বলা হয়েছে মেয়েরা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, যেন তাদের দেহের গঠন বাহিরের থেকে স্পষ্টভাবে না বুঝা যায়। এইতো, এর বেশী কিছু আমার জানা নেই।
দেখ বন্ধু, জানিনা তোমরা অবাধ মেলামেশা বলতে কি বুঝাচ্ছ। তবে আমি যতটুকু বুঝি এই অবাধ মেলামেশাই কিন্তু প্রভা, পরিমলকে জন্ম দিয়েছে। এই নারী স্বাধীনতাই ভারতে চলন্ত বাসের ঘটনার জন্ম দিয়েছে। এই রকম আরও বহু ঘটনা ঘটছে তার কতটুকুইবা প্রকাশিত হয় বলো.......
তোমরা বলছো দেশটা পাকিস্তান-আফগান হবে, কিন্তু কেন বন্ধু। তোমরা কি সৌদি আরব বা ইরানকে দেখছো না। তারাতো ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা করেছে।
তোমরা বন্ধু এতো কিছু দেখ, কিন্তু দেখনা মহানবী (সা:) যেদিন বায়তুল মাল উদ্ভোদন করলেন সেই দিন কি ভাষন দিয়েছিলেন। কৈ তোমার কোন রাষ্ট্রের কোন সরকার কি আজ অবধি সেইরকম একটি সাহসী বক্তব্য রাখতে পেরেছেন?
তোমরা কি জানার চেষ্টা কর, হযরত ওমর (রা:) এর শাসনামল এর ঘটনাগুলি। তাঁর শাসনামলেতো তিনি কাউকে যাকাত দেবার মতো কোন ব্যক্তিকে খুঁজে পাননি। এখন তোমরাই বলতো, কোন দেশের কোন সরকার কি তা করতে পেরেছেন? বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোতে তোমরা দেখতে পাবে দারিদ্র সীমার নীচে অনেক লোক বসবাস করছে। কিন্তু হযরত ওমর (রা:) এর শাসনামলে তা পাওয়া যায়নি।
তোমরা যে বলো মহানবী (সা:) ধর্ম নিরপেক্ষ ছিলেন, তোমরা কি শুন নাই বা পড় নাই তিনি কতগুলো যুদ্ধে স্বশরীরে অংশগ্রহন করেছেন, কি ছিল সেই যুদ্ধের কারন, কি ছিল সেই যুদ্ধের কৌশল।
আবার যখন বলো মুসলমানরা জঙ্গি, তোমরা কি শুন নাই বা জান নাই বা জানার চেষ্টা কর নাই, আমার নবী (সা:) কে যখন তায়েফের কাফেররা রক্তাক্ত করে তায়েফ থেকে তাড়িয়ে দিলো তখন আমার নবী (সা:) মহান আল্লাহর দরবারে কি বলে দোয়া করেছিলেন?
বন্ধু, ইসলামে সেকুলার বা গোঁড়া বা চরম বাদী বলে কোন শব্দ নাই। ইসলাম সব সময়ই আমাদেরকে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করতে শিখায়। তবে হ্যাঁ, আমাদের জিহাদের জন্যও আদেশ করে এবং সেই সাথে স্পষ্টভাবে বলে দেয়া আছে শত্রুর আছে কি রকম ব্যবহার করতে হবে।
বন্ধু, ইসলামে কুরআনকে বলা হয় পরিপূর্ন জীবন ব্যবস্থা। আমরা কয়জন আমাদের সমস্যাগুলোর সমাধান কুরআন এ খুঁজেছি? কয়জন আমরা কুরআন এর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছি যে আজ আমরা কুরআন এর আইন শুনলে আঁতকে উঠি?
ইসলামের প্রথম কথা, পড় তুমি তোমার প্রভুর নামে। ইসলামই জ্ঞান অর্জনকে ফরজ করেছে। এখন বলতো কয়জন আমরা জানার চেষ্টা করেছি? কয়জন আমরা পড়ি? না, বন্ধু, নিজের নাম লিখতে জানলেই ইসলামে শিক্ষিত হওয়া যায়না। ইসলাম তোমাকে গবেষনার জন্য তাগিদ দেয়। চিন্তা করার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।
আজ আমরা জানি না বা জানার চেষ্টা করিনা। সেটা আমাদের দোষ, ইসলামের নয়। আমাদের এই দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিছু ভন্ড সমগ্র ইসলামকে দূষিত করছে। তারা তাদের মনগড়া মতবাদ দিয়ে আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করছে।
সবাই সব জ্ঞান অর্জন করতে পারে না এটা সত্যি। তাই কোন কিছুর সমাধানের জন্য অবশ্যই আমাকে তার কাছে যেতে হবে যিনি আমাদের মধ্যে ভাল জানেন এবং তিনি যে জানেন ও সুষ্ঠ সমাধান দেন তার পরীক্ষা আমাদেরকেই করে নিতে হবে। এবং এর জন্য ইসলামের প্রাথমিক শিক্ষা আমাদেরকে নিজ গরজেই শিখে নিতে হবে।
আমাদের ভুলের মাসুল আমাদেরকেই দিতে হবে। এর জন্য আমরা কোনভাবেই ইসলামকে দায়ী করতে পারবো না বা পারিনা। অবশ্যই ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলেই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে, ইনশাল্লাহ।
No comments:
Post a Comment