এনামেল: এটি দাঁতের বাইরের শক্ত আবরণ, যা ক্যালসিয়াম ও ফসফেট দ্বারা গঠিত।
ডেন্টিনঃএটি ভিতরের স্তর, যা দাঁতের অধিকাংশ স্থান জুড়ে বিদ্যমান।
দন্তমজ্জা (ডেন্টাল পাল্প)ঃএটি দাঁতের ভিতরের অংশ, এখানে স্নায়ু ও রক্তবাহী নালিকা বিদ্যমান।
সিমেন্টামঃ এটি দাঁতের মূলের চারিদিকে অবস্থিত পাতলা স্তর। এটি এক ধরনের অস্থিসদৃশ আবরণ, যা দাঁতকে চোয়ালের সাথে সংযুক্ত করে রাখে।
এছাড়াও দাঁতের সিমেন্ট ও চোয়ালের মাঝখানে যে সূক্ষ ফাঁকা থাকে, সেখানে অনেক অতিসূক্ষ তন্তুসদৃশ লিগামেন্ট থাকে যাকে পেরিওডন্টাল টিস্যু বলে। দাঁতকে হাড়ের সাথে সংযুক্ত রাখাই এর প্রধান কাজ
চিনি জাতীয় খাদ্য আমাদের মুখের ভিতরে এক ধরনের জীবাণুর সঙ্গে মিশে এসিড তৈরী করে। এই এসিড দাঁতের উপরের শক্ত আবরণ এনামেলকে ক্ষয় করে এবং পরবর্তীতে গর্তের সৃষ্টি করে। এ রোগটির নাম ডেন্টাল ক্যারিজ। এই পদ্ধতিটা ঠিক এই রকম -
চিনি জাতীয় খাদ্য+জীবাণু (ব্যাকটেরিয়া = এসিড = দাঁতের ক্ষয় (ডেন্টাল ক্যারিজ)।
ডেন্টাল ক্যারিজ প্রতিরোধ: ১.নিয়মিত দুই বেলা সকালে ও রাতে (আহারের পর) ফ্লুরাইডমিশ্রিত টুথপেষ্ট দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
২. ফ্লুরাইড ট্যাবলেট, ফ্লুরাইড জেল অথবা ফ্লুরাইড মিশ্রিত পানি গ্রহণ করা (অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণে)। পানিতে সাধারণত: ফ্লুরাইডেশন করা হয় ১ মিলিয়ন এর মধ্যে ১ ভাগ ফ্লুরাইড যুক্ত করে। কারণ নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশী ফ্লুরাইড গ্রহণ দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।
ডেন্টাল প্লাক কি:
মুখে খাদ্যকণা জমে থেকে যে আবরণ সৃষ্টি হয় এর নাম ডেন্টাল প্লাক। এই ডেন্টাল প্লাক লক্ষ লক্ষ অণুবীক্ষণিক জীবাণুর সমষ্টি। মুখের দুই প্রধান রোগ ডেন্টাল ক্যারিজ ও মাড়ির প্রদাহে ডেন্টাল প্লাকই দায়ী।
প্লাক প্রতিরোধ:
১. মূল আহার গ্রহণের (সকালের নাস্তা-দুপুরের খাবার-রাতের খাবার) মধ্যবর্তী সময়গুলোতে চিনি বা শর্করা জাতীয় খাদ্য (যেমন চকলেট, বিস্কুট, লজেন্স, কেক, টফি, চুইংগাম, আইসক্রিম, মন্ডা মিঠাই) খাওয়া বন্ধ করা প্রয়োজন।
২. আহার গ্রহণের সাথে সাথেই ভালোভাবে কুলিকুচি, মুখ পরিষ্কার ও দুই বেলা সকালে ও রাতে দাঁত ব্রাশ করা প্রয়োজন।
৩. ডিসক্লোজিং ট্যাবলেট পানিতে গুলে নিয়ে ঐ পানিতে কুলিকুচি করলে খাদ্যকণাগুলোর রঙ পরিবর্তন হবে (লাল রঙ) তখন প্লাক সনাক্ত করে খাদ্যকণাকে ব্রাশ বা মেছওয়াক করলে সহজেই পরিষ্কার করা যায়।
মিসওয়াক...
* মাড়ি শক্ত করে, দাতের ক্ষয় রোধ করে।
* স্মরণ শক্তি বাড়ায়।
* মুখে সুগন্ধি আনে।
* মুখের দূর্গন্ধ দূর করে ও মুখের রুচি বাড়ায়।
* মাথা ব্যাথা দূর করে।
* চেহারায় উজ্জলতা আনে।
* দাঁতের উজ্জলতা বাড়ায়।
* দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়।
* পাচন প্রক্রিয়াতে সাহায্য করে।
* সবচাইতে বড় কথা আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া যায়।
* নামাজের আগে মিসওয়াক করলে ৭০ গুণ বেশী সাওয়াব পাওয়া যায়।
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমার উম্মাতের উপর যদি কষ্টকর মনে না করতাম, তাহলে তাদেরকে প্রত্যেক সালাতের সময় দাঁতন (মেসওয়াক) করার নির্দেশ করতাম।” [বুখারী: ৮৮৭, মুসলিম: ৫৮৯]
মূল: http://www.facebook.com/media/set/?set=a.1532211842958.45390.1764648144
No comments:
Post a Comment